শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল,উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

রক্তিম মল্লিক দোলন,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জুলাই ২০, ২০২১, ০৯:৩৯ পিএম
ছবিঃ সংগ্রহিত

মুন্সিগঞ্জঃ রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আযহা,তাই পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঘরে ফিরছে মানুষ। সকাল থেকেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ভীড় করছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়। 

করোনা মহামারীর মধ্যে ফেরিতে যাত্রী পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শতশত যাত্রী নিয়ে ফেরি পারাপার হতে দেখা যায়।এসময় অধিকাংশ যাত্রীর মুখেই মাস্ক ছিল না এবং অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে শারীরিক দূরত্ব মানাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।স্বাস্থ্যবিধিকে একরকম বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই মানুষ ছুটছে আপন গন্তব্যে।অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিআইডব্লিওটিএ কতৃপক্ষের লোকজনকে অনেকটা হিমসিম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। 

এদিকে শিমুলিয়া লঞ্চঘাটেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছিল। করোনা সংক্রমণ রোধে  অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দেয়া হলেও সেটি মানতে দেখা যায়নি,বরং এক একটি লঞ্চ আসন সংখ্যার দ্বিগুন-তিনগুন সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করার ফলে একদিকে যেমন হতে পারে ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনা অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারনে করোনো সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে  পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি পারাপারে বেশী সময় লাগায় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা গণপরিবহন,ব্যক্তিগত গাড়ী এবং পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি ছিল।এছাড়া শিমুলিয়া ঘাট অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কয়েক কিলোমিটার জুড়েও যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে।