হবিগঞ্জে ব্যস্ততা নেই কামারদের

মোহাম্মদ শাহ আলম, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জুলাই ১৭, ২০২১, ০১:১৭ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
হবিগঞ্জঃ এবার কোরবানির ঈদে ব্যস্ততা নেই কামারদের। টুং টাং শব্দ কম কর্মকার ব্যবসায়ীদের দোকানে। হাতুরা সেনি যেন গিয়েছে অবসরে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, চুরি তবল বানাতে আগের মত ব্যস্ত নেই এসব দোকানে।
 
কঠোর লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় বানাতে পারেননি চাহিদার পর্যাপ্ত পশু জবাই করার দা, চুরি। ঘর ভাড়া আর ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিনতায় তারা। দা, চুরি কিনতে আসা ক্রেতারাও খালি হাতে ফিরছেন অনেকে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মকার ব্যবসায়ীদের সাথে সরেজমিনে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।
 
হবিগঞ্জ চৌধুরীবাজার রঞ্জিত  কর্মকার নামে এক ব্যবসায়ী  জানান, এবারের ঈদে আমাদের দোকানে টুং, টাং করে হাতুরা সেনি আর বাজছে না। গত দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় ক্রেতাদের চাহিদার জিনিষ আমরা বানাতে পারছি না।
 
ঈদেরও আর বেশি দিন বাকি নেই। এই সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। ঠিকমত বেচাকেনা নেই। আগের তুলনায় অনেক কম। অপর ব্যবসায়ী সানু কর্মকার জানান, করোনার কারণে ক্রেতাদের চাহিদার পাটল ধরলো। আমাদেরও লোকসানে পড়তে হলো। ব্যবসা বাণিজ্য হচ্ছে না। অন্যান্য কোরবানির ঈদে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেচাকেনা হত। এবার  দেড় হাজারও হচ্ছে না।
 
শায়েস্তাগঞ্জ বাজারের অনিল চন্দ্র দেব নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতাদের দোকানে বসিয়ে রেখে কোরবানির পশু জবাই করার দা, চুরি বানাতে হচ্ছে। এতে করে সময়ও বেশি করে ব্যয় হচ্ছে।
 
কোরবানির পশু জবাই করার জন্য দা, চুরি কিনতে আসা মনির নামে এক ক্রেতা বলেন, এবার পুরাতন চুরি দিয়েই পশু জবাই করার কাজ চালিয়ে নেব। কারণ এখন যদি চাহিদা মত চুরি কিনতে হয় তাহলে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময় নেই।
 
অন্যান্য সময়ের চেয়ে পশু জবাই করার দা, চুরি, কান্ডা, তবল, জবর চুরি, দাম একটু বেশি। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন তুলনামূলক দাম কমই আছে। এসব পণ্যের বাজার মূল্য জানান ব্যবসায়ীরা। দা ২শত থেকে ৩৫০টাকা/ ছুরি ৫০ টাকা থেকে ৬শত টাকা /কান্ডা ২৫০ থেকে ৪শ/ জবর ছুরি ২শত থেকে/১২ শত টাকা।