মানিকগঞ্জঃ চলমান মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন খালি পড়ে আছে। পাশাপাশি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের পরিবেশ। এতে উপজেলার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিণত হয়েছে গো-শালায় এবং কিছু প্রাথমিক ইস্কুলের ভবনের বারান্দা সুযোগে রয়েছে আলমিরা-তালাই তৈরির কারিগরদের দখলে!
ফলে প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক গত ১৭ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক বিদ্যালয় ভবনের ছাদের ওপর ও বারান্দায় চলে তাস খেলার আড্ডা। বিড়ি সিগারেটের ময়লা ও দুর্গন্ধে যে কেউ ওই পরিবেশে হঠাৎ গেলে আতঁকে উঠবে। উপজেলার একাধিক বিদ্যালয় গুলো বর্তমানে পশুর চারণভূমি ও নোংরা দুর্গন্ধে ভরা।
উপজেলার ৪০নং দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি ভবনের বারান্দা দখল করে আলমিরা- তালাই তৈরি করছে বাহিরের ব্যাবসায়ী ও কারিগররা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের চারদিক ঝোপঝাড় আর ময়লা আবর্জনায় আচ্ছন্ন। ছাদের ওপরে ও অভিবাবকদের বসার সিটে চলে বহিরাগত যুবকদের তাস খেলার আড্ডা।
দৌলতপুর উপজেলার ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের পরিবেশ নোংরার কারনে দুর্গন্ধ হয়ে পড়েছে।
এসব ব্যাপারে ৪০নং দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়েশা সিদ্দিকার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ কিছুটা নোংরা হতে পারে। অনেক বিদ্যালয়ের প্রাচীর না থাকায় গরু-ছাগল মাঠে প্রবেশ করছে। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।