দুপচাঁচিয়ায় কৃষকের ভরসা এখন স্থানীয় শ্রমিক

মতিউর রহমান, দুপচাঁচিয়া ( বগুড়া) প্রতিনিধি মে ৪, ২০২১, ১২:২১ পিএম
ছবি সংগৃহীত

বগুড়াঃ জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান ঘর তোলা শুরু করেছে কৃষক। পুরোদমে ধানকাটা শুরু হতে সময় লেগে পারে  আরও ১০ থেকে ১৫ দিন । প্রাথমিকভাবে ধান ঘরে তোলার জন্য স্থানীয় শ্রমিকদের উপর ভরসা করছে কৃষকরা।

দুপচাঁচিয়া  উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, এবার বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।  মাঠজোড়া সবুজ ধান ক্ষেতের কিছু অংশের রূপ পরিবর্তন হয়ে সোনা রং ধারন করেছে। সোনা রঙের এই পাকা ধানগুলিই  কেটে ঘরে তুলতে ক্ষেতে  শ্রমিক নিয়োগ করেছে কৃষক।

উপজেলার মাজিন্দা গ্রামের কৃষক তোজাম্মেল হোসেন জানায়, আপাতত স্থানীয় শ্রমিকদের উপর ভরসা রাখতে হচ্ছে। মজুরি বেশি পেয়ে স্থানীয়দের অনেকেই সাময়িকভাবে অন্য পেশা ছেড়ে ধান কাটার কাজ করছে।

আমশট্ট গ্রামের কৃষক নিবেশ জানায়, এই মূহূর্তে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশংকায় শঙ্কিত কৃষকরা। দ্রুত ফসল ঘরে তোলার জন্য মজুরি কিছুটা বেশি দিয়েই স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ করতে হচ্ছে।

কৃষক নিবেশ আরও জানায়, কৃষকের বাড়ি হতে ধান ক্ষেতের দুরত্বভেদে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত মজুরিতে  প্রতিবিঘা জমির ধান কাটছে স্থানীয় শ্রমিকরা। বাহিরের এলাকা থেকে মুষ্টিমেয় শ্রমিক এসেছে। তবে বেশি সংখ্যক শ্রমিক আসলে ধানকাটার মজুরি সহনশীল পর্যায়ে আসবে।

একজন স্থানীয় শ্রমিক জানায়, তারা ভাল মজুরি পাচ্ছে বলে অন্য পেশা ছেড়ে এখন ধান কাটার কাজ করছে। গৃহনির্মান কাজে শ্রমিক হিসাবে তার প্রাত্যহিক  মজুরি ছিল  ৩৫০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে ধান কেটে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পাচ্ছে সে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,  এ মৌসুমে ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

আগামীনিউজ/এএস