কুষ্টিয়া: জেলার কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চরভবানীপুর গ্রামে কঠোর লকডাউনের মধ্যে অনাবৃষ্টি ও মহামারী থেকে মুক্তির জন্য দ্বিতীয় বারের মতো নামাজ ও দোয়া চেয়ে মাঠে নামাজ আদায় করেছেন গ্ৰামের দুই শতাধিক মানুষ।
সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টি চেয়ে বুধবার (২১এপ্রিল) সকাল ১০টায় দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছেন উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মানুষ।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এদিকে নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিদের মুখে দেখা মেলেনি মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি নামেনেই পাশাপাশি বসেই তারা নামাজ আদায় করেন।
চর জগন্নাথপুর গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আলী মোনাজাত পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপদাহে দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে এছাড়াও পুরো বিশ্বে করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষা রাখতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে দোয়া করা সুন্নত। তাই এই নামাজের আয়োজন করা। কুষ্টিয়ায় জেলায় কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি হয় না। তাই আমরা সবাই দোয়া প্রার্থনা করেছি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান দেশে কঠোর লকডাউনে মসজিদেও এক সঙ্গে ২০ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষেধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নামাজের জন্য শতাধিক মানুষ জড়ো হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয় জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (চর জগন্নাথপুর ও চর মাহেন্দ্রপুর) সদস্য আবুল কাশেমের কাছে।
তিনি বলেন, অনাবৃষ্টি ও করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দুই শত মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করেছেন চর মাহেন্দ্রপুর স্কুলের পাশে রাস্তার ওপারে। যে মাঠে নামাজ হয়েছে সেটা চর ভবানীপুর গ্রামে পড়ে। মুসল্লিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বললেও তারা রাখেননি। মসজিদেও তারা মাস্ক না পরে নামাজ আদায় করেন।
প্রত্যন্ত গ্রামে করোনার প্রকোপ কম। তাই মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চান না। তবে নিয়মিত তাদের মৌখিকভাবে সচেতন করা হচ্ছে।
এ বিষয়টি কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এই দোয়া অনুষ্ঠান যারা করছে তারা ঠিক করে নি। এর পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামীনিউজ/নাহিদ