যেসব কারনে খুলনা ও বাগেরহাটে কাঙ্খিত বোরো উৎপাদন হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৩, ২০২১, ১১:৫৯ এএম
ফাইল ফটো

খুলনাঃ টানা আট মাস অনাবৃষ্টি। এপ্রিলের প্রথমে কালবৈশাখীর ঝাপটা। জানুয়ারির পর থেকে লবনাক্তার বৃদ্ধি। সহনশীল মাত্রার চেয়ে বোরো ক্ষেতে দুই ডিগ্রী তাপমাত্রা বেশী। ফলে এ মৌসুমে চার কারনে বোরো আবাদ চাষীর অনুকুল ছিল না। ধানে তিন শতাংশ চিটা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে খুলনা ও বাগেরহাটে এবারে কাঙ্খিত হবে না।

সেপ্টেম্বর  ও এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিন অঞ্চল জুড়ে অনাবৃষ্টি। বোডিং এর পানি দিয়ে সতেজ রাখতে হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটজনিত কারনে সেচ যন্ত্রে ডিজেল ব্যবহার করতে হয়। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়ে। কৃষি শ্রমিকের মুজরি বেশী ছিল। রোপনের পর মাজড়া ও পাতা মোড়ানো পোকা আক্রমন করে। মৌসুমের বড় একটি সময় নন ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দেয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানান, বিগত বছরগুলোতে বোরো মৌসুমে বৃষ্টিপাত হয়। এবারে বীজতলা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলে নি। পুরো মৌসুমটাই সেচের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। তাছাড়া তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে বোরো আবাদের উপযোগী। ২৫ মার্চ এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ফলে বোরো ক্ষেতে ধানের চিটা বেশী দেখা যাচ্ছে।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, গত ৪ এপ্রিল ঝড়ো হাওয়ায় ১১০ হেক্টর জমির বোরো ধান শুয়ে পড়েছে। তাপদাহজনিত কারণে ১৯ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনাবৃ্ষ্টি। একই সাথে লবনাক্ততা বেড়েছে। ফলশ্রতিতে দৌলতপুর, ডৃুমুরিয়া, ফুলতলা, পাইকগাছা, দিঘলিয়া, বটিয়াঘাটা দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় উৎপাদনে কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।

মৌসুমে খুলনা জেলায় ৬০ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। কর্তৃপক্ষ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। ধান কাটা শুরু হয়েছে।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, অনাবৃষ্টি তাপমাত্রা, ঝড়ো হাওয়া ও লবনাক্ততার কারনে জেলার চিতলমারীতে ৪২০ হেক্টর জমি বোরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চিতলমারী উপজেলার শ্রীরাম পুর গ্রামের সাথী মন্ডল, রত্না বৈরাগী জানান, ধান কাটার আগে দেখা যাচ্ছে চিটের পরিমান বেশী। কৃষি বিভাগ বলেছে, বাগেরহাট জেলায় ৫৫ হাজার ৫ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।

আগামীনিউজ/এএস