যশোরে ৮৯ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য

বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি মার্চ ৫, ২০২১, ১০:২৩ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

যশোরঃ  জেলার ৮৯ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করার পর সিভিল সার্জনের টিম পরিদর্শনে গিয়ে নানা অনিয়ম দেখার পর ওই প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। তিনি জানান, এরমধ্যে অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে ফের আবেদন পাঠিয়েছেন।

সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, হিসাবমতে যশোর জেলায় ২৮৭ টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে নতুন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহণ ও পুরাতন প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঘোষণা অনুযায়ী গত বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেয়া হয়।

এরমধ্যে ২৩৪ টি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। বাকি ৫৩ প্রতিষ্ঠান মালিক সরকারি আদেশ প্রথম অবস্থায় মানেননি। যে কারণে প্রতিষ্ঠান মালিকদের কারণ দর্শনো নোটিশ জারি করা হয়। এরমধ্যে ৩৬ টি প্রতিষ্ঠানের মালিক নোটিশের জবাব ছিলো অসন্তোষজনক। পরবর্তীতে সূর্যের হাসি ক্লিনিকছাড়া সব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনলাইনে আবেদন পাঠায়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে পক্ষে বিপক্ষে কর্তৃপক্ষের কাছে মতামত পাঠিয়ে দেয়া হয়।

সিভিল সার্জন অফিস আরও জানিয়েছে, মতামত প্রতিবেদনে জেলার ৮৯ টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে জানানো হয়। ওই সব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা ও প্যাথলজিস্ট নেই। এছাড়া নিম্ন মানের অস্ত্রোপচার কক্ষ, প্যাথলজি বিভাগ নোংরা পরিবেশছাড়াও মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করা হয়।

অফিস সূত্র আরও জানায়, ওই ৮৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যশোর শহর ও সদর উপজেলার যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজিটাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আফজালিয়া এস্টেট এস বি এফ কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার, দেশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিডপয়েন্ট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওএ এফ সি হেলথ ফরটিস আউটরীচ ক্লিনিক উল্লেখযোগ্য। লাইসেসন্স না পাওয়ার জন্য সুপারিশ করা হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে এই  প্রতিষ্ঠানগুলোতে সবচেয়ে বেশি ও অনিয়ম চোখে পড়ে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, জেলায় এই পর্যন্ত নানা অনিয়মের কারণে  গিয়ে ৩০ টির বেশি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তিনি সিলগালা করেছেন।

এছাড়াও পরিদর্শনে সময় নানা অনিয়মের চিত্র চোখে পড়ায় ৮৯টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরে মতামত পাঠানো হয়। এরমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবারো আবেদন করেছেন। অধিদফতর থেকে ম্যাসেজ আসলেই সেই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হচ্ছে।

আগামীনিউজ/সোহেল