জাবিতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

সৈকত ইসলাম, জাবি মে ২৫, ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম

ঢাকাঃ মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দিনের বেলাতেই ক্যাম্পাসজুড়ে মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর আবাসিক হলসহ সব জায়গায় ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ভন ভন করে উড়ছে।

ফলে শিক্ষার্থীরা দিনের বেলা ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে দুঃসহ যন্ত্রণার মুখে পড়ছেন। আর রাতে হলে পড়াশোনা ও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন।

জানা গেছে, হলের আশপাশের এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করা ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকায় মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া প্রতি বছর শুরু থেকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার মশক নিধন অভিযান হয়ে থাকলেও এ বছর তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে দিনের পর দিন মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে।

এতে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ- মশা নিধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ জানান, ‘হলের ক্যান্টিন, ডাইনিং থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জায়গায় মশার উপদ্রব। দিনের বেলা রুমের মধ্যে মশারি টানিয়ে রাখতে হয়।’

এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কিউলেক্স কুইনকুইফেসসিটাস মশার উপদ্রব বেশি। এপ্রিল-মে'র দিকে গরম আবহাওয়ার কারণে প্রচুর মশার জন্ম হয়। এ সময়টায় নোংরা ঝোপ-জঙ্গল, ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার রাখা, নার্ভিসাইড ও ফগিং ব্যবহার করে মশা দমন কারা যায়।’এ প্রজাতির মশার কামড়ে বয়াবহ গোদ রোগের আশঙ্কা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

মশা দমনে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (স্টেট) মো. আব্দুর রহমান জানান, ‘কোনো হল চাইলে আমরা এখন তাদের ফগিং বেশি দিচ্ছি।'

বুইউ