বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে হুমকি দিল বিআরটিসি বাসচালক!

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি মার্চ ১৭, ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বহনকারী এক বিআরটিসি বাসচালকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে জেলা শহর মাইজদী থেকে ক্যাম্পাস ফেরতগামী চামেলী নামের বিআরটিসি বাসে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেইসবুক গ্রুপে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি পোস্ট করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মো. মঞ্জুর রোহান নামের ওই শিক্ষার্থীর ফেসবুকের ভাষ্য অনুযায়ী ‘গত (১৩ মার্চ সোমবার) ভার্সিটিগামী বিকেলের বাসে উঠি মাইজদী মসজিদ মোড় থেকে। ভার্সিটির বাসে উঠেই দেখি কিছু বখাটে ছেলে। আমাদের ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকজন সিনিয়র আপু ছিল বাসের মধ্যে। হঠাৎ করে দেখি একটি ছেলে ড্রাইভারের হয়ে টাকা তুলছে আর সেই বখাটে ছেলেগুলো কুরুচিপূর্ণ কথা বলছে মেয়েদের ইঙ্গিত করে। আমি উঠে দাঁড়িয়ে গিয়ে ড্রাইভারকে বললাম, এভাবে ভার্সিটির বাসে বখাটে ছেলেদের উঠিয়ে টাকা তুলছেন আর তাদের এরকম উত্যক্ত করার সুযোগ করে দিচ্ছেন? মোবাইল বের করতেই উনি জোরে একটা টান দিলেন বাস। আমি পড়ে গিয়ে ডান হাতে প্রচণ্ড ব্যাথা পেলাম। আমাকে বলেন- চল ডিপোতে, আমার অফিসে নিয়ে গেরা কমাই। ভার্সিটির মেয়েরা জান্নাতের হুর নাকি যে বিরক্ত করব। এহ্ হিরো হইতে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে আপুরাও প্রতিবাদ শুরু করলে উনি কোণঠাসা হয়ে যায় এবং তার ইচ্ছে ছিল আমাকে বিআরটিসি ডিপোতে নিয়ে নির্যাতন করবে এবং গেইট লক করে দিয়েছিল। কিন্তু তৎক্ষণাৎ আপুদের প্রতিবাদের মুখে উনি বাস চালাতে থাকে আর আমাকে বলে সোনাপুর পেলে দেখে নিবে এমনকি ভার্সিটির ভেতরে গাড়ি প্রবেশের পরেও আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। মোবাইল বের করে উঠে দাঁড়ালে হঠাৎ করে বাস টান দিয়ে আমাকে আহত করে। আমি নিজেকে রক্ষার্থে বাসের উপরের হাতল ধরতে গেলে  প্রচণ্ড ব্যাথা পাই ডান হাতের দুই আঙ্গুলে। আমার হাতের দুই আঙ্গুল জখম হয়ে ফুলে আছে এখনও। এমতাবস্থায় আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে গেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিআরটিসি ড্রাইভার মো. রানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করেন।

সোনাপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর ট্রাপিক ইনচার্জ নাসির উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগকারী ছাত্রের নাম, কোন বিভাগে পড়ে বিস্তারিত নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি ছাত্র এবং ড্রাইভার দুইজনকে এক সঙ্গে করে বিষয়টি দেখবেন। দোষ যদি ড্রাইভারের হয় তাহলে বিচার হবে।

এসএস