বেরোবিতে সিনিয়রদের মারধরে অজ্ঞান জুনিয়র শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ১১:৫৫ এএম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রসায়ন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীর মারধরে অজ্ঞান হয়ে যান এক জুনিয়র শিক্ষার্থী। পরে আহত শিক্ষার্থীকে তার সহপাঠীরা উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের কয়েকজন শিক্ষার্থী একই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সিয়াম মুসাব্বিরকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- রসায়ন বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহিম, শিবলি সাদিক, ১১তম ব্যাচের ‍রওশন, ১২তম ব্যাচের সাকিব, বাপ্পী ও কামরুল।

সিয়াম মুসাব্বিরের বন্ধুরা জানায়, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বন্ধু-বান্ধবসহ আড্ডা দেওয়ার সময় সিয়ামকে একজন ফোন করে বলে তাকে বড় ভাইয়ারা স্বাধীনতা স্মারকে ডাকছে। সিয়াম সেখানে পৌঁছানোর পরে রসায়ন বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহিম, শিবলি সাদিক, ১১তম ব্যাচের ‍রওশন, আতিক, ১২তম ব্যাচের সাকিব, বাপ্পী এবং কামরুল সহ প্রায় ১০ জন তাকে কোন কথা ছাড়াই মারধর শুরু করেন। এ সময় সিয়াম তার বন্ধুদেরকে ডাকাডাকি শুরু করে। তার বন্ধুরা সেখানে দৌড়ে গিয়ে দেখে সিয়াম অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে বর্তমানে সিয়াম সুস্থ আছে। ডাক্তার তাকে পর্যবেক্ষণে থাকতে বলেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক বিজন মোহন চাকী বলেন, ঘটনার কথা জানা মাত্রই আমার তিন সহকর্মীকে নিয়ে তাকে হাসপাতালে দেখতে যাই। সে বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক নুরুজ্জামান খান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সিয়াম কয়েকবার বমি করেছে। বর্তমান স্যালাইন চলতেছে, ডাক্তাররা বলেছে সে আশঙ্কা মুক্ত। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক সিয়ামের খোঁজখবর নিচ্ছি। বর্তমান সে কিছুটা ভালো বোধ করছে বলে আমাদের জানিয়েছে। তার বড় কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা সেটি দেখতে আগামীকাল তার কিছু পরীক্ষা করা হবে।

এসএস