হাসান-আফ্রিদির তোপে হোয়াইটওয়াশ দ.আফ্রিকা

খেলাধুলা ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ০৪:৩৬ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ ১৪ বছর পর পাকিস্তান সফরে গিয়ে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে হাসান আলী ও শাহীন শাহ আফ্রিদির গতির ঝড়ে ৯৫ রানে হার মানে সফরকারীরা।

ব্রিসবেন আর চট্টগ্রামে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক সাফল্যের পুনরাবৃত্তি হলো না রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে। তিনশর বেশি রান তাড়া করতে নেমে শেষ দিকে রোমাঞ্চ ছড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই পেসার হাসান আলী ও শাহীন শাহ আফ্রিদির দুর্দান্ত পেসে দুই টেস্টের সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করলো পাকিস্তান। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতলো তারা।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে শেষ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ২৪৩ রান, হাতে ৯ উইকেট। চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে টাইগার বোলারদের নাকাল করে যেভাবে অসাধ্য সাধন করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, প্রোটিয়াদের ব্যাটিং দেখে সেই কথাই মনে হচ্ছিল ক্রিকেট সমর্থকদের।

চট্টগ্রামে শেষ দিনে ২৮৫ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, হাতে ৭ উইকেট। তাতেই এমন জয়! প্রোটিয়ারা তো আরও ভালো অবস্থানে ছিল। তবে কি টেস্টের শেষ দিনে বাংলাদেশের পরিণতিই হবে পাকিস্তানেরও? চিত্রনাট্যে তো অনেকটাই মিল ছিল।

৩৭০ রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটেই ২৪১ রান তুলে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে হাসান আলির তোপে ২৭৪ রানেই গুটিয়ে গেছে কুইন্টন ডি ককের দল।  মাত্র ৩৩ রানে প্রোটিয়াদের শেষ ৭ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান, পেয়েছে ৯৫ রানের জয়। সেইসঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও দিয়েছেন বাবর আজমরা।

শেষ দিন ৯ উইকেট হাতে রেখে আরও ২৪৩ রানের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করাম ৫৯ ও রাসি ফন ডার ডাসেন ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। দিনের তৃতীয় বলেই তাদের ৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ভেঙে দেন হাসান। কোনও রান যোগ করতে না পেরে ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে বোল্ড হন ফন ডার ডাসেন।

হাসান তার দিনের তৃতীয় ওভারে ফাফ দু প্লেসিকে (৫) এলবিডাব্লিউ করেন। ৮ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারালেও জয়ের স্বপ্ন আবার জাগিয়ে তোলেন মার্করাম ও তেম্বা বাভুমা। লাঞ্চের পর পর ২২১ বলে ১২ চার ও ৩ ছয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি করেন মার্করাম। জুটিরও সেঞ্চুরি হয়। কিন্তু ১০৬ রানের এই জুটি ভেঙে দুর্দান্ত ব্রেক থ্রু আনেন হাসান। ২৪৩ বল খেলে ১০৮ রানে বিদায় নেন মার্করাম। পরের বলে অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক ডাক মারেন ইমরান বাটের ক্যাচ হয়ে।

কয়েক ওভার পর আরেক সেট ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমাকে সাজঘরের পথ দেখান শাহীন শাহ আফ্রিদি। এরপর আর উইকেটে বাঁধ দিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। জর্জ লিন্ডে (২১), কেশভ মহারাজ (১), অ্যানরিচ নর্টজেরা (০) দাঁড়াতেই পারেননি হাসান আলির তোপের সামনে। মাঝে শূন্য রানে রানআউট হন কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ২৭৪ রানে।

দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও হাতে উঠেছে হাসান আলির। ৬০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ৫১ রানে ৪ উইকেট আরেক পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির।

আগামীনিউজ/নাসির