বুড়িগঙ্গা  ও তুরাগের পূণ:দখলরোধে কাজ করবে ঢাকা বন্দরের গার্ডদল

তরিকুল ইসলাম সুমন জুন ১৫, ২০২০, ০৪:২৬ পিএম
সংগৃহীত ছবি

বুড়িগঙ্গা  ও তুরাগ নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরবর্তী পূণ:দখলরোধে কাজ করবে ঢাকা বন্দর কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়ে গঠিত গার্ডদল। এমনটাই জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।

তিনি  আগামী নিউজ ডটকমকে জানান,  ঢাকার চার পাশের নদীগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালর কয়েকদিন পরেই আবার অবৈধ দখল হয়ে যায়। এসব অবৈধ দখল রুখতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন, বাহিনী নয়। এরা সহায়ক   কিপার বা সংরক্ষক হিসেবে ঢাকা বন্দরের হয়ে কাজ করবে। এসদস্যরা কি রকম কজ করে তার উপর ভিত্তিকরে পরবর্ত ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

ঢাকা সদরঘাট নৌবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন আগামীনিউজ ডটকমকে জানান, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষণ ও তীরভূমি পূণ:দখলরোধে নিবিড় পাহাড়া জোরদার ও টেকসই মনিটরিং (পরিবীক্ষণ) ব্যবস্থা চালু করতে পরীক্ষামূলকভাবে  আনসারদের সহকারী হিসেবে ১২ জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদী বন্দরে ১৩ জুন থেকে সীমিত আকারে কাজ শুরু করেছে তারা।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে গঠিত এ গার্ডদল বন্দরে নিয়োজিত আনসারদের সাথে একত্রে কাজ করবে। দখল-দূষণ রোধে নিবিড় পর্যবেক্ষণে এদের একটি অংশ নদীর উপরিভাগে সড়কপথে বিশেষ পেট্রোল দেবে এবং অপর একটি অংশ নৌপথে স্পিডবোটে করে দিনে রাতে নিয়মিত টহল দিবে। এদের কার্যক্রমের উপর ভিত্তিকরে বিআইডব্লিউটিএ’র অধীনেও নিজস্ব একটি ফোরশোর গার্ড ফোর্স ( এফজিএফ) গঠনের একটি প্রস্তাব রয়েছে ।

উল্লেখ্য, নৌপথে চাঁদাবাজী বন্ধে নৌযান মালীকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএর উদ্যোগ ও তৎকালীন নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের চেষ্টায় গঠন হয়েছিল নৌপুলিশ।

আগামীনিউজ/তরিকুল/জেএস