ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সংবাদ ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০, ০৯:৪৫ এএম

শখের বশে বাড়ির ছাদে কিংবা টবে নয়, এবার বাণিজ্যিকভাবে চুয়াডাঙ্গায় চাষ হচ্ছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম। গত তিন বছরে পরীক্ষামূলক চাষের পর এবারই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে এ জাতের সবজির চাষ করেছেন সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের চাষি খায়রুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গার মাটি ও আবহাওয়া ক্যাপসিকাম চাষের উপযোগী হওয়ায় সহজেই এ চাষে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। অল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় তার দেখাদেখি আশপাশের কয়েক জেলার তরুণ উদ্যোক্তারা এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে, বাংলাদেশে মূলত বাড়ির ছাদে কিংবা টবে শখের বশে ক্যাপসিকামের চাষ হয়। সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে এ বছর ১২ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকামের আবাদ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে চাষি ক্যাপসিকাম তুলে বিক্রিও শুরু করেছেন। প্রথমে কিছুটা সংশয় থাকলেও ভালো ফলন ও চড়া বাজার দাম থাকায় ক্যাপসিকাম চাষি বেশ খুশি। গাছ লাগানোর দুই মাসের মাথায় ফল দেওয়া শুরু করে ক্যাপসিকামের গাছগুলো। একটি গাছ থেকে ফলও পাওয়া যায় বেশ কয়েকবার। সেসব ফল প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামে। দাম ভালো পাওয়ায় লাভের প্রত্যাশা চাষিদের। খায়রুল ইসলাম জানান, ক্যাপসিকামের বিজ বপন করার এক মাস পর চারা তৈরি হয়। চারা রোপণের আগে পলিথিন দিয়ে বেড তৈরি করতে হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে গাছের চারা বপন করতে হয়। ১২ বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজার গাছ রয়েছে। প্রতি বিঘা জমি থেকে ৩ টন ক্যাপসিকাম ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। প্রথম অবস্থায় কিছুটা ভীতি থাকলেও প্রত্যাশার তুলনায় ভালো ফলনে সে ভীতি কেটে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, বীজ রোপণের পর থেকেই ক্যাপসিকাম চাষিদের নানাভাবে সহায়তা করেছেন তারা। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য কৃষককেও এ চাষে আগ্রহী করতে উদ্বুদ্ধ করছেন তারা। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ব্যতিক্রমী ফসল ক্যাপসিকাম উৎপাদনে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন তারা।

খবর বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০) শেষের পাতা।