একুশে ফেব্রুয়ারিতে কোনো জঙ্গি হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০২:২০ পিএম

ঢাকাঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে। দিবসটি ঘিরে কোনো জঙ্গি হুমকি নেই বলেও জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু ওই দুইজনকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। আমাদের টিম তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১২টার পর পরই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনৈতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিদায় নেওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এই দুই ভাগে শহীদ মিনারের নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পলাশী প্রান্তর থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহীদ মিনারের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। সঙ্গে ব্যাগ জাতীয় কোনো জিনিস নিয়ে আসবেন না।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, অন্যবারের মতো এবারও একইভাবে প্রবেশ করানো হবে। ভিভিআইপিরা দোয়েল চত্বর হয়ে প্রবেশ করবেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা জিমনেশিয়াম মাঠে গাড়ি রেখে বাকি পথ হেঁটে আসবেন। আর সাধারণরা পলাশী মোড় হয়ে জগন্নাথ হল হয়ে প্রবেশ করবেন ও দোয়েল চত্বর-চানখাঁরপুল হয়ে বের হয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, করোনার পরে যেহেতু পুরোপুরি উন্মুক্ত পরিবেশে প্রথমবারের মতো একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসবেন, ঢাকার নাগরিকরা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আসবেন। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ঢাবির সহযোগিতায় সার্বিক ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা, এরপর থেকে সন্ধ্যা ৬টা ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ধাপে মোট তিন ধাপে এ এলাকায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। প্রবেশপথ ও বেরিয়ে যাওয়ার পথ ছাড়া সবগুলো সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বুইউ