স্বামী বিবেকানন্দের কিছু অমূল্য বাণী

নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ১৪, ২০২১, ০১:৫৫ পিএম
স্বামী বিবেকানন্দ। ছবিঃ সংগৃহীত

১। এদেশে (আমেরিকা) কেহ যদি উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে থাকে তবে সকলের তাহার সহায়তা করিতে প্রস্তুত। আর ভারতবর্ষে কাল যদি কোন একটি পএিকায় আপনি আমার প্রশংসা করিয়া এক ছাত্র লেখেন,তবে পরদিন দেশসুদ্ধ সকলে আমার বিপক্ষে দাঁড়াইবে। ইহার হেতু কি ? হেতু-দাসসুলভ মনোবৃত্তি । নিজেদের মধ্যে কেহ সাধারণ স্তর হইতে একটু মাথা উঁচু করিয়া দাঁড়াইবে,ইহা তাহাদের পক্ষে অসহ্য ।

২। আমরা মানব জাতিকে সেই স্থানে লইয়া যাইতে চাই;যেখানে বেদ বাইবেল কোরআন নাই;অথচ বেদ বাইবেল কোরআন সমন্বয়ে গঠিত।

৩। মানুষ যত প্রকার জ্ঞানলাভ করিয়াছে,সবই মন হইতে। জগতের অনন্ত পুস্তকাগার তোমারই মনে। বহির্জগৎ কেবল তোমার নিজ মনকে অধ্যয়ন করিবার উত্তেজক কারণ-উপলক্ষ্য মাত্র।

৪। চরিত্র গঠনের জন্য ধীর ও অবিচলিত যত্ন,এবং সত্যোপব্ধির জন্য তীব্র প্রচেষ্টাই কেবল মানব জাতির ভবিষৎ জীবনের উপর প্রভাব বিস্তার করিতে পারে।

৫। নিজেদের বিপদ থেকে টেনে তোলো! তোমার উদ্ধার-সাধন তোমাকেই করতে হবে।…ভীত হয়ো না। বারবার বিফল হয়েছো বলো নিরাশ হয়ো না। কাল সীমাহীন,অগ্রসর হতে থাকো,বারবার তোমার শক্তি প্রকাশ করতে থাকো,আলোক আসবেই।

৬। দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়,আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয়। আমাদের নিম্নশ্রেণীর জন্য কর্তব্য এই,কেবল তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়া এবং তাহাদের বিনষ্টপ্রায় ব্যক্তিত্ববোধ জাগাইয়া তোলা।

৭। অসংযত ও উচ্ছৃঙ্খল মন আামাদের নিয়ত নিম্ন থেকে নিম্নতর স্তরে নিয়ে যাবে এবং চরমে আমাদের বিধ্বস্ত করবে,ধ্বংস করবে। আর সংযত ও সুনিয়ন্ত্রিত মন আমাদের রক্ষা করবে,মুক্তিদান করবে।

৮। মানুষ মূর্খের মত মনে করে,স্বার্থপর উপায়ে সে নিজেকে সুখী করিতে পারে। বহুকাল চেষ্টার পর অবশেষে বুঝিতে পারে-প্রকৃত সুখ স্বার্থরতার নাশে এবং সে নিজে ব্যতীত অপর কেহই তাহাকে সুখী করিতে পারে না।

৯। আপানার ভাল কেবল পরের ভালয় হয়,আপনার মুক্তি এবং ভক্তিও পরের মুক্তি ও ভক্তিতে হয় -তাইতে লেগে যাও,মেতে যাও,উন্মাদ হয়ে যাও। ঠাকুর যেমন তোমাদের ভালোবাসতেন,আমি যেমন তোমাদের ভালোবাসি,তোমারা তেমনি জগৎকে ভালোবাস দেখি।

১০। মনে করিও না,তোমরা দরিদ্র। অর্থই বল নহে;সাধুতাই-পবিত্রতাই বল। আসিয়া দেখ,সমগ্র জগতে ইহাই প্রকৃত বল কি না। 

১১। যদি শাসন করতে চাও,সকলের গোলাম হয়ে যাও। এই হ’ল আসল রহস্য। কথাগুলি রুক্ষ হলেও ভালবাসায় ফল হবেই। যে-কোন ভাষার আবরণেই থাকুক না কেন,ভালবাসা মানুষ আপনা হতেই বুঝতে পারে ।