মানুষ নিরিবিলি কেঁদেও শান্তি পাবে না: রিজভী

আগামী নিউজ প্রতিবেদক মে ১৬, ২০২২, ০৩:০৪ পিএম

ঢাকাঃ বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে দেউলিয়াত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থা আরও সংকটাপন্ন। অর্থনৈতিক চরম দুর্দশাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ নিরিবিলি কেঁদেও শান্তি পাবে না।

সোমবার (১৬ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, দেশে জনগণের অবস্থা করুণ ও মর্মান্তিক। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আলোর গতিতে দৌড়াচ্ছে। গম আমদানি করা যাচ্ছে না, কারণ রফতানিকারক দেশগুলো রফতানি বন্ধ করে দিয়েয়ে। চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, সয়াবিন তেল উধাও, কয়েকদিনের মধ্যে আটা ক্রয় করাও অসম্ভব হবে সাধারণ মানুষের জন্য। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য খাদ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী, গতি যেন থামছেই না। খাদ্যপণ্য নিয়ে সবধরণের গভীর সংকটে বাংলাদেশ। 

তিনি বলেন, উজানের পানি এবং বাঁধ ভেঙে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলের ধান তলিয়ে গেছে। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জাতি আকুল উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে। দুর্বিষহ সংকট প্রচন্ড গতিতে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে নীলনকশা হিসেবে নতুন নতুন কালাকানুন তৈরিতে ব্যস্ত এই সরকার। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও অন্য মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ডিজিটাল মাধ্যম ও ওভার দ্য টপ (ওটিটি) মাধ্যমের জন্য নতুন একটি প্রবিধান বা নীতিমালা তৈরি করছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ২০১৮ সালেও জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস আগে তড়িঘড়ি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়।’

‘এবারও আরেকটি নতুন কালাকানুন তৈরির যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা হবে আরও ভয়ঙ্কর। বিরোধিতা দূরে থাক, জাতীয় জীবনকে নেতিয়ে পড়ার দিকে ঠেলে দেওয়ার কৌশল হিসেবেই এই কানুনগুলো তৈরি করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন অত্যাচারী আততায়ীর আঘাতে ছিন্নভিন্ন। নিজের আত্মসম্মানে জাগ্রত হয়ে জাতি সবসময় চিরসজাগ থেকেছে, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও এদেশের মানুষ নিজেদের জীবন-জীবিকা রক্ষার প্রয়োজনে রাজপথে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের জন্য প্রলয়-দিন ঘনিয়ে এসেছে।’

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ। 

এমএম