চাঁদপুরে মেঘনার বুকে কক্সবাজার

প্রভাত আহমেদ অক্টোবর ২২, ২০২০, ১২:৩০ পিএম

ঢাকাঃ মিনি কক্সবাজার: বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। এটি নদীকেন্দ্রীক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র। এর চারদিকে নদী হওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো দেখায় তাই পর্যটকরা এর নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার। স্থানীয়ভাবে বালু চর, পদ্মার চর ও মেঘনার চর নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। বেসরকারিভাবে ‘স্বপ্ন ট্যুরিজম’ এ পর্যটন কেন্দ্রটি পরিচালনা করে।

চাঁদপুর ত্রিনদী মোহনা বড়স্টেশন মোলহেড থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে পদ্মা ও মেঘনার মিলনস্থলের দক্ষিণ পূর্ব অংশে বালুময় ভূমি। নদীপৃষ্ঠ থেকে কিছুটা উঁচু হওয়ায় শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমের ভরা জোয়ারেও এটির পুরো অংশ পানিতে ভেসে যায় না। বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। ২০১৮ সালের শুরুর দিক থেকে মিনি কক্সবাজার ধীরে ধীরে দেশব্যাপি মানুষের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। নদী ভাঙ্গন আর গড়ার মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে এ স্থানটির উৎপত্তি।

চারদিকে নদী ও দূর থেকে স্থানটি দক্ষিণ পূর্বাংশে চাঁদপুর জেলা শহরকে এবং এর বিপরীত দিকে ছোট আকৃতিতে শরীয়তপুর জেলাকে অনুধাবন করা পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ। শীত মৌসুমে এবং গ্রীষ্মের আগ পর্যন্ত এ পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের মন কাড়ে।

এ স্থানটি পদ্মা ও মেঘনার মিলনস্থলে অবস্থান হওয়া দু’দিকে মেঘনা ও পদ্মার বিস্তীর্ণ জলরাশির ছোট ছোট ঢেউ আর বালুকাময় বিস্তীর্ণ চরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা এখানে ভিড় করে। সকালে বা বিকেলে এসে সূর্যোদ ও সূর্যাস্ত দুটি দৃশ্যই এখান থেকে দেখা যায়। দু’দিক থেকে দু’নদীর ছোট ছোট ঢেউ আছড়ে পড়া, পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের ইলিশ ধরার দৃশ্য আর বিস্তীর্ণ বালির ফাঁকে সবুজ ঘাস মিনি কক্সবাজার বিশেষ সৌন্দর্য। এছাড়া জনপ্রিয় স্থানটিতে পর্যটকদের জন্যে মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিঠা পানিতে সাঁতারের পাশাপাাশি ও গোসলের সুযোগ রয়েছে।

মিনি কক্সবাজার, চাঁদপুর বর্ষার সময় সাতার না জানা পর্যটকদের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ। ১২ জুন ২০১৯ তারিখে এখানে সাঁতার কাটতে একজন পর্যটক নিখোঁজ হন। ১৩ জুন ২০১৯ তারিখে চাঁদপুর নদী ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ পর্যটন কেন্দ্রকে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের জন্যেও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে।

আগামীনিউজ/এমকে