পাখিদের আপ্যায়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০, ০১:০৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

পঞ্চগড়ঃ ভোরের আলো ফুটতেই হাজির হয় হাজার হাজার ঘুঘু, কবুতর, শালিক। পঞ্চগড়ের চৌধুরীগছ এলাকার জবেদা অটো রাইস মিল যেন রূপ নিয়েছে পাখির অভয়াশ্রমে। মূলত নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের খোঁজেই সেখানে ভিড় পাখিগুলোর। চালকল মালিকও বিরামহীন পাখিদের খাবার সরবরাহ করেন। স্থানীয়দের সঙ্গেও সখ্যতা গড়ে উঠেছে পাখিগুলোর।

‘এখানে ঘুঘুর ডাকে অপরাহ্নে শান্তি আসে মানুষের মনে, এখানে সবুজ শাখা আঁকাবাঁকা হলুদ পাখিরে রাখে ঢেকে’ জীবনানন্দের কবিতার মতোই একটি জায়গা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার চৌধুরীগছ এলাকার জবেদা অটো রাইস মিল। দিনভর পাখির কলকাকলি-ওড়াউড়ি। এ যেন পাখির রাজ্য।

সূর্য ওঠার আগেই ওরা আসে পালা করে দল বেধে। চাতালে শুকাতে দেয়া ধান খায়। আবার উড়ে গিয়ে বসে বিদ্যুতের তার, ঘরের চাল বা গাছের ডালে। মূলত নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের খোঁজেই এখানে ভিড় জমায় পাখিগুলো। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ মণ ধান খায় এসব পাখি। তাদের আবদার মেটাতে চালকল মালিকেরও রয়েছে বিশেষ আয়োজন।

তেঁতুলিয়ার জবেদা অটো রাইস মিলের মালিক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, 'চাতালের মধ্যে পাখি আসে, কোন সময় আমরা তাড়িয়ে দেই না। এতে আমরা অনুভব করি আল্লাহর রহমত-বরকত বর্ষিত হয়।'

স্থানীয়রাও পাখিদের বিরক্ত করেন না। নেই শিকারিদের উৎপাত। ফলে, ৮ থেকে ১০ বছরেই চালকলটি হয়ে উঠেছে পাখিদের অভয়াশ্রম। এলাকাবাসীরা বলেন, 'আমাদের জীবনে এ রকম দৃশ্য জীবনেও দেখি নাই। এত ঘুঘূ আসে। বৃষ্টি পড়লে আরো বেশ আসে।'

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, 'তিনি আসলেই একজন পাখিপ্রেমী মানুষ। আমরাও চেষ্টা করবো তার উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে।'

লোকালয়ে পাখিদের এমন দৃষ্টিনন্দন আর চিত্তাকর্ষক দৃশ্য উপভোগে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

আগামীনিউজ/এএইচ