শুধু ৩৪টি চ্যানেল দিয়ে গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব নয় : কোয়াব

নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৩, ২০২১, ১২:৫০ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে কোয়াব নেতারা, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ শুধু বাংলাদেশি ৩৪টি টেলিভিশন চ্যানেল দিয়ে কেবল অপারেটর সেবা চালু রাখলে গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতারা। বিদেশি চ্যানেল বন্ধ হওয়ায় গ্রাহক হারিয়ে ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হবে বলে মনে করেন তারা। তবে কোয়াব বিজ্ঞাপনযুক্ত বা ক্লিন ফিডবিহীন বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের পক্ষে নয় বলেও উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।

সরকারের ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে কোয়াব নেতারা এ কথা বলেন।

তারা জানান, বিদেশি চ্যানেল বন্ধ থাকলে গ্রাহক তাদের নিজেদের স্বার্থে ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চলে যাবে। এতে দ্রুত গ্রাহক কমে যাবে। কেবল অপারেটর ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে তাদের পক্ষে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার পারভেজ বলেন, সরকার যে অর্ডার দিয়েছে, আমরা সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি। তথ্য মন্ত্রণালয় আমাদের অভিভাবক। কেবল অপারেটরদের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রীর কাছে বিনীত আবেদন করছি, ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত অন্তত যেসব বিদেশি চ্যানেল বন্ধ আছে, সেই চ্যানেলগুলো যেন আমরা পুনরায় সচল করতে পারি, সে ব্যাপারে যেন তিনি একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন কোয়াবের সভাপতি আনোয়ার পারভেজ। তিনি বলেন, ‘২৫ বছরে তিলে তিলে গড়ে তোলা আমাদের এই কেব্‌ল ইন্ডাস্ট্রি। এখানে আমাদের চার লাখ মানুষের রুটিরুজির বিষয় জড়িত। ইউটিউবের রমরমা অবস্থা। যেসব বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ হয়েছে, সেসব চ্যানেল তাদের প্রতিটি সিরিয়াল সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবে আপলোড করে দিচ্ছে। সেখানে কিন্তু বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন ইউটিউবে যাচ্ছে। এই টাকাটা চলে যাচ্ছে ইউটিউব কোম্পানির কাছে। দেশের বাইরে থেকে অনেকগুলো অ্যাপস চলছে। হইচই, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, হট স্টার, জি-ফাইভ এরা কিন্তু বাংলাদেশ থেকে গ্রাহক নিচ্ছে। কোনো বৈধ উপায়ে তারা গ্রাহক নিচ্ছে না। এরা কিন্তু গ্রাহকের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনেক টাকা নিয়ে যাচ্ছে।’

কোয়াব সভাপতি আরও বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেল বন্ধ হলে মানুষ কিন্তু বসে থাকবে না। সুইচ করবে, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাবে। এই সুইচ করার সুযোগে কেব্‌ল টিভি নেটওয়ার্কের ব্যবসা যদি রাস্তায় বসে যায়, আমরা যদি এই সেক্টরে জড়িত মানুষকে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিই, তাহলে এর দায়ভার কে নেবেন?’

আগামীনিউজ/শরিফ