ঢাকাঃ আমরা সময়মতো ভ্যাকসিন আনতে পেরেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা দেশে আসার আগ থেকে অনেকে এটা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছেন। তবে তাদেরও সুরক্ষার প্রয়োজন আছে। আমরা তাদেরকেও ভ্যাকসিন দিয়ে দেব। তারাও যেন সুরক্ষিত থাকে।
আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) গণভবন থেকে কুর্মিটোলায় দেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কিছু কাজ কারো কারো অভ্যাস আছে। সবসময়ই কোনো কিছু তাদের ভালো লাগে না। যত ভালো কাজই করেন, ‘কিছু ভালো লাগে না’ নামে একটা রোগে ভোগে। এ রোগের জন্য কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কি-না তাও আমি জানি না। কিন্তু কিছু ভালো লাগে না, এ ধরনের একটা রোগ আপনারা পত্রিকা দেখলেই পাবেন। সেখানে সবকিছুর একটা দোষ ঢোকানো। আসবে না, আসবে না। আসলে পরে এত দাম হলো কেন? এটা চলবে কি-না। দিলে কী হবে... নানা প্রশ্ন তাদের। যা হোক। আমি চাই তারা সাহস করে আসবেন। আমরা তাদেরকেও ভ্যাকসিন দিয়ে দেব। তারাও যেন সুরক্ষিত থাকে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আশ্চর্যজনক এই করোনাভাইরাস সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে গেল। মানুষের কাজকর্ম করার সবকিছুতে একটা সীমাবদ্ধতা চলে এল। অর্থনীতিতে একটা স্থবিরতা চলে এল। আমরা জনগণের সেবক হিসেবে যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এই করোনার সময় মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কীভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে পারি সেই চিন্তা করছিলাম।
তিনি বলেন, এমন একটা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে দেখা দিলো যার ভ্যাকসিন কোথাও নেই। সারা পৃথিবীতে গবেষণা চলছিল। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, যারা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে সব জায়গায় যেন আমরা চিঠি লিখে বলে রাখি যাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে আমরা পাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল টাকা দেওয়া। আমি ইতিমধ্যেই এক হাজার কোটি টাকা আলাদা করেই রেখেছিলাম। অর্থ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই, আমি বলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা অর্থটা ছাড় দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়। প্রথম টিকা নেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। এর পর পর্যায়ক্রমে আরো ২৫ জন টিকা গ্রহণ করেন।
আগামীনিউজ/এএইচ