কেরানীগঞ্জের অগ্নিদগ্ধরা বেশি মাত্রায় দগ্ধ : সামন্ত লাল

আগামী নিউজ প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:০৪ পিএম
ফাইল ছবি

সম্প্রতি কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দেশে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি মাত্রায় দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দেশে যত আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় পোড়া রোগী এসেছে কেরানিগঞ্জের অগ্নিকান্ডের ঘটনায়। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে এমন আগুনে পোড়া রোগী রয়েছে যাদের মুখ  তাদের স্বজনেরাও চিনতে পারছে না। 

শ্বাসনালী খুব খারাপভাবে পুড়ে গেছে এবং যে ১০ জন রোগী এখনও রয়েছে তাদের সবার শরীরের ৬০ থেকে ৮০ ভাগ পোড়া এবং আব্দুর রাজ্জাক নামের একজনের শতভাগ পোড়া, যোগ করেন তিনি।

সামন্ত লাল বলেন, ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ৮ জন ভর্তি রয়েছে, তারা সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পোড়া। আর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি  ইনস্টিটিউটে এখন ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। প্রত্যেকেই লাইফসাপোর্টে। সবার ইনহ্যালেশন বার্ন এবং এর পরিমাণ এমন যে আমার এই ৪০ বছরের অভিজ্ঞতায় এত ভয়াবহ বার্ন কখনো দেখিনি।

তিনি আরো বলেন, এদের মধ্যে একজন আব্দুর রাজ্জাক যার শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে। বিশ্বের কোথাও শতভাগ বার্ন বাঁচানো সাধারণত সম্ভব হয়না। আমরা চেষ্টা করছি বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। 

সামন্ত লাল বলেন, আমরা রোগীর স্বজনদের সবসময়-সবকিছু জানাচ্ছি, চিকিৎসাও সঠিকভাবে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে চিকিৎসা যেন সঠিকভাবে হয় এবং ব্যয় ভার যেন সরকার বহন করে, সেভাবেই সব চলছে। আর আমরা এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ পোড়া রোগী বাঁচাতে পেরেছি।

কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় বুধবারের অগ্নিকাণ্ডে এখন শুক্রবার পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগামী নিউজ / হাসি