প্রকাশকদের শেষ ভরসা ছিল পহেলা বৈশাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১১, ২০২১, ০২:১৬ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ এবার অমর একুশে বইমেলা যেন এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। করোনার কারণে প্রথম থেকেই বইমেলা নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় ছিল সরকার। প্রকাশকদের আগ্রহে এক মাস পিছিয়ে মার্চে বইমেলা শুরু হয়। যদিও তাতে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়নি। করোনার চোখ রাঙানিতে কয়েক দফা কমেছে বইমেলার সময়সূচি। ফলে বইমেলায় যেতে বইপ্রেমীদের আগ্রহ কমে যায়। তবে কিছু কিছু পাঠক করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বইমেলায় আসছে।

এদিকে এপ্রিলের ১৪ তারিখ বইমেলা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগে অর্থাৎ ১২ এপ্রিল বইমেলা শেষ হচ্ছে। ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেওয়া হতে পারে এমন সিদ্ধান্ত সামনে রেখে মেলার শেষের দিকের তারিখ কমিয়ে আনা হয়। এ বছর বইমেলা নিয়ে এমন ছন্নছাড়া সিদ্ধান্তের কারণে কিছুটা বিরক্ত বইপ্রেমীরা। বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, বইমেলা ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হলে এত সমস্যার সৃষ্টি হতো না।

আবার কেউ কেউ মনে করছেন, করোনার মধ্যে বইমেলা হওয়া ঠিক হয়নি। বই কিনতে আসা পাঠক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “করোনার মধ্যে বইমেলা চলতে দেওয়া ঠিক না। করোনার মধ্যে বইমেলায় লোক কম হবে, এটা তো আগেই অনুমেয় ছিল। এখন আবার সরকার নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগে মেলা শেষ করে দিচ্ছে। এটা ভালো দিক। যারা বই কেনার তারা ইতোমধ্যে কিনে ফেলেছেন। বইমেলার সময় আরও বাড়ালে পাঠক বাড়বে এমনটা না।”

তবে বই বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, পহেলা বৈশাখে বই বিক্রি হওয়ার বড় সুযোগ ছিল। মেলার সময় কমিয়ে দেওয়ায় সেই সুযোগ হাতাছাড়া হয়ে গেল। এটাতে তারা ‘ক্ষতির ওপর ক্ষতি’ হিসেবে দেখছেন।

এর আগে আগামী ১২ এপ্রিল অমর একুশে গ্রন্থমেলা শেষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। শনিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

করোনা মহামারির নানা বাধা পেরিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয় এবারের বইমেলা। শুরুতে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলার সময়সূচি ধার্য করা হলেও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মেলার সময় কমিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর দেশজুড়ে সরকার চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করায় ফের বইমেলার সময়সূচিতে পরিবর্তন এনে বেলা ১২ট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

আগামীনিউজ/নাসির