জেলহত্যা

সরকার দুলাল মাহবুব নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ১০:১১ এএম

ঢাকা শহরে সেদিন নিকশ কালো অন্ধকার
থমথমে চারদিক,
রাতজাগা পাখি নিঃশব্দে ঘুমে বিভোর। 

চাঁদের আলো আগেই বিলীন,
নেই জোনাকির আলো
তখনো কাটেনি জের বঙ্গবন্ধু হত্যার। 

টলমলে দেশ প্রান্তর, ধুম্রজাল রাজনীতির,
রাজতক্তে কেউবা মত্ত;
কেউবা বন্দী, কেউবা নিরুদ্দেশ-নিষ্ক্রিয়,
মাঝিহারা নৌকা পায় না তীরের সাক্ষাৎ। 

পচাত্তর পনেরো আগস্ট সেই রাতের ঘটনায় 
শংকিত স্তম্ভিত অদ্ভুত দুঃস্বপ্নে আৎকে 
উঠছে জাতি
অতঃপর তিন নভেম্বর ভোর নিরাপত্তার 
সুতিকা কেন্দ্রীয় কারাগার
মোসলেমের ঘাতক বাহিনী প্রধান 
ফটকে আসীন, অনড় কারারক্ষী 
রুখে দেয় তাদের। 

অতঃপর টেলি যোগাযোগ; 
রাষ্ট্রপতি মুস্তাক ও মেজর আব্দুর রশীদ 
দেয় আদেশ-অস্ত্রধারীদের ভিতরে প্রবেশ,
জেগে উঠে পাগলা ঘণ্টা; শব্দ গুলির।

১ নম্বর সেলে ব্রাস ফায়ার, এক মুহূর্তে 
নিভে যায় প্রাণের স্পন্দন;
ঝাঝরা ডায়েরি খাতা, কুরআনের পাতা,
নিথর দেহ পড়ে রয় জাতীয় চার নেতার।

আবারো রক্তাক্ত পতাকা, মানচিত্র-
গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে ওরা।
বরেন্দ্রের ক্ষণজন্মা হেনা আর তাজ, নজরুল
মনসুর স্বাধীন দেশের সোনার ছেলেরা
কাপুরুষের কাছে করেনি নত শির,
স্বাক্ষী মহান বাংলাদেশ।