যে কারণে কাঁচা কলা খাবেন 

আগামী নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ১০, ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম

পাকা কলা অহরহ খাওয়া হলেও কাঁচা কলা খুব একটা খাওয়া হয় না। স্বাদের দিক থেকে পাকা কলা মজাদার হলেও, কাঁচা কলার রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। তাই ভর্তা, ভাজি বা বিভিন্ন তরকারি সাথে রান্না করে কাঁচা কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

ওজন কমায়: কাঁচা কলাতে থাকে দুই ধরনের আঁশ- রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ ও পেকটিন। উভয় উপাদানই দীর্ঘসময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে কাজ করে। এতে করে লম্বা সময় পর্যন্ত ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না এবং ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়।

নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়বেটিস: এখানেও কাঁচা কলায় থাকা রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ ও পেকটিনের কথা বলতে হবে। এই দুইটি উপকারী উপাদান রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণার তথ্য মতে কাঁচা কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই অল্প (৩০), যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়।

হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে: উচ্চমাত্রার রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চযুক্ত কাঁচা কলা রক্তের প্লাজমা কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কনসেন্ট্রেশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা সরাসরিভাবে হৃদযন্ত্রের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া কাঁচা কলায় থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডায়রিয়ার সমস্যায় উপকারী: ডায়রিয়ার সমস্যার ক্ষেত্রে কাঁচা কলায় থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। যা মলকে শক্ত করতে ও ডায়রিয়া তৈরিকারি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণা মতে, শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্যে কাঁচা কলা গ্রহণ উপকারিতা বহন করে।

আয়রনে ভরপুর: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়া ও আয়রন সমৃদ্ধ কাঁচা কলা রক্তশূন্যতার রোগীদের আবশ্যক। কলিজা ও কচু শাকের মতো কাঁচা কলাও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে কাজ করে। এছাড়া কাঁচা কলা অন্যান্য খাদ্য উপাদান থেকে আয়রন শোষণেও অবদান রাখে এবং আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

আগামী নিউজ/এমআর