অং সান সু চিকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ৩০, ২০২২, ০১:১৯ পিএম
অং সান সু চি। ফাইল ছবি

ঢাকাঃ সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সু চিকে এই সাজা দেওয়া হয়।

সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সু চির বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাকে সম্মিলিত সাত বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে।

সু চির বিরুদ্ধে রায়ের বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য সামনে এনেছে। আর এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের এই গণতন্ত্রপন্থি নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলার গোপন বিচারিক কার্যক্রম শেষ হলো।

সূত্রটির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক-শাসিত মিয়ানমারের একটি আবদ্ধ আদালতে শুক্রবার সু চির বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করা হয়। মূলত মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো বা প্রকৃত নেতা থাকাকালীন হেলিকপ্টার ইজারা এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

৭৭ বছর বয়সী নেত্রী অং সান সু চিকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বন্দি করে দেশটির জান্তাবাহিনী। সেদিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তাবাহিনী। এরপর থেকেই বন্দি জীবনযাপন করছেন সু চি।

বর্তমানে সু চিকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর একটি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। জান্তা সরকার সু চিকে আইনি লড়াইয়ের জন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতেও দেয়নি। এর আগে সু চিকে বিভিন্ন অভিযোগে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সু চির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ভঙ্গ করা, উত্তেজনা উসকে দিতে যোগাযোগের জন্য অবৈধভাবে রেডিও সরঞ্জাম মজুত করা, রাষ্ট্রীয় গোপন আইন ভঙ্গ করা এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করা। তবে সু চি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বুইউ