উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ বানোয়াট: চীন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক মার্চ ৮, ২০২১, ১২:২৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমানদের ওপর চালানো গণহত্যার অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক ও বানোয়াট’  সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে চীন। 

গতকাল রোববার (৭ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। তিনি বলেন, এটা সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য হাসিলে পশ্চিমা রাজনীতিবিদদের তৈরি গুজব এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।

চীনের বিরুদ্ধে মুসলিম জাতিগত উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। তাদের দাবি, উইঘুরদের ওপর চীনা আচরণ ‘গণহত্যা’।

বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণহত্যার অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, উইঘুরদের ওপর এখনো গণহত্যা চলছে। তাদেরকে ধ্বংস করতে চীনা দলীয় রাষ্ট্রের পরিকল্পিত চেষ্টা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। কিন্তু আমরা নীরব থাকব না।

জাতিসংঘ বলছে, উইঘুরের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে প্রায় ১০ লাখ স্থানীয় মুসলিমকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এর বাইরে উইঘুর নারীদের সন্তান জন্মদান ক্ষমতা নষ্টে তাদের বন্ধ্যা করা হচ্ছে এবং শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে। যদিও চীন সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, ক্যাম্পগুলোতে মুসলমানদের বন্দি করে রাখা হয়নি। বরং সেখানে তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি উইঘুর ইস্যুতে বিতর্কের মুখে চীন। একের পর এক দেশ শিনজিয়াংয়ে প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা সরকারের আচরণকে গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পর চীন সরকারের আচরণকে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে নেদারল্যান্ডও। সম্প্রতি চীনের তথাকথিত ‘কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রে’ নিপীড়নের একাধিক প্রমাণ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে গত সপ্তাহে প্রকাশিত বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন করছে চীন সরকার। তাদেরকে দিয়ে জোর করে শ্রমিকের কাজ করানো হচ্ছে। উইঘুররা প্রক্রিয়াগত ধর্ষণের শিকার বলেও অভিযোগ তোলা হয় ওই প্রতিবেদনে।

এর আগে উইঘুর ও করোনা ইস্যুতে সংবাদ প্রকাশের পর বিবিসির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় চীন। 

আগামীনিউজ/সোহেল