ডিজিটাল পদ্ধতির সুফল পেয়েছেন ৭০ ভাগ করোনা রোগী

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০, ০৪:৩৪ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ক্রমান্বয়ে ডিজিটাইলেজশনে আনায় মহামারি করোনার এ সময়ে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ রোগী এর সুফল ভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন অনেকেই অনেক কিছু মন্তব্য করেছিলেন। তবে করোনাকালটা তাদের মন্তব্যের সঠিক জবাব দিয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে একটি নিউজ পোর্টালের অনলাইন আলোচনায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন গৌরব’ ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফএম শাহীন। এ সময় অতিথিরা দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যে পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে, সেগুলো দারুণভাবে সফল হয়েছে। ৬০ থেকে ৭০ ভাগ করোনা রোগী ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমেই চিকিৎসা নিয়েছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বলেন, আমাদের জন্য করোনা সত্যি সত্যি একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার ছিল। একটা পর্যায়ে যখন লকডাউনে চলে যাওয়া হয়, তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাস্তা-ঘাট, যানবাহনসহ সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় একটা মাত্র রাস্তা খোলা ছিলো, সেটি হচ্ছে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি। এ সময় একটা ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।

ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে যারা যুক্ত আছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে তারা দিনে-রাতে পরিশ্রম করেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা পুরো ব্যবস্থাকে সচল রেখেছে এবং কোনো পরিস্থিতেই ভেঙে পড়ার মতো অবস্থাতে যায়নি। সেই জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

ডিজিটাল পরিবর্তনের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে আমার অফিসের শতকরা ৯৫ ভাগ ফাইল পেতাম কাগজের এবং সেই কাগজের মধ্যেই সই করতে হতো। কিন্তু আজকে করোনাকালের মধ্যে পেন্ডিং কোনো ফাইল নেই। সব ফাইলই ডিজিটাল মাধ্যমে সাইন আপ করেছি। এটা এক সময় কিছু কিছু অফিসে ছিল। কিন্তু এখন এটা উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। এমনকি ভলিউম বেড়ে যাওয়ার কারণে সার্ভারটা আগারগাঁও থেকে স্থানান্তর করতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

‘বাংলাদেশে করোনা বিস্তার আমেরিকার পর্যায়ে হবে না। আমাদের যে লাইফ স্টাইল সেই লাইফ স্টাইলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু ভিন্ন মাত্রায়। করোনা রোগটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পরাস্ত করে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি রয়েছে।’

আগামীনিউজ/আশা