উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দাসিয়ারছড়া

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম জুলাই ৩১, ২০২২, ১০:৫৫ এএম

ঢাকাঃ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ৬৮টি মোমবাতি প্রোজ্জ্বল  করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহল বিনিময়ের পর থেকেই বঞ্চিত এ মানুষগুলোকে মূলধারায় যুক্ত করতে বিভিন্ন উন্নয়ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে শেখ হাসিনা সরকার। মাত্র ৭ বছরের মধ্যেই যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ সামাজিক নিরাপত্তার মতো নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের সবকিছুই পূরণ করেছে সরকার। দেশের অভ্যন্তরে অন্যান্য ছিটমহলগুলোর মতো উন্নয়ন ঘটেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অভ্যন্তরে সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায়।প্রতিটি গ্রামে রয়েছে প্রশস্ত পাকা রাস্তা। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ। মসজিদ-মন্দির, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ, ডিজিটাল সেন্টার, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের নানারকম উন্নয়নমূলক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে এক নতুন জনপদ দাসিয়ারছড়া।

শুধু তাই নয়, দাসিয়ারছড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা দাখিল মাদ্রাসা নামে একটি দাখিল মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদ্য এমপিওভুক্ত করেছেন দাসিয়ারছড়া সমন্বয়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কামালপুর মইনুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, দাসিয়ারছড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসাটি। আরও রয়েছে দুটি কলেজ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য গড়ে উঠা স্কুল।

সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার মনিরুজ্জামান, নুর আলম ও জাকির হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ৬৮ বছরের বন্দি জীবন থেকে মুক্ত করেছেন দিয়েছেন নাগরিকত্ব, তিনি দাসিয়ারছড়ায় এসে দাসিয়ারছড়ার মানুষকে  একগুচ্ছ ফুলের সাথে তুলনা করেছেন। সে ফুলের যত্ন যেন তিনি নিজের হাতেই নিচ্ছেন । তাইতো দাসিয়ারছড়ায় এত ব্যাপক উন্নয়ন। এছাড়া মানুষ সারাজীবন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দোয়া করে যাবে।

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় কমিটির দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সভাপতি আলতাব হোসেন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নাগরিকত্বসহ ৭ বছরে অনেক উন্নয়ন দিয়েছে। রাস্তাঘাট শিক্ষা চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এখন আমরা পেয়েছি। এজন্য দেশের ছড়াবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খান জানান, মুজিব ইন্দ্রা চুক্তির বিনিময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুক্ত করে দিয়েছেন। আমাদের বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, তিনি আমাদের পরিচয়দানকারী মা। তাই ছিটমহল বিনিময়ের সাত বছর পূর্তি উপলক্ষে আমরা ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা হাতে নিয়েছি আমরা সেগুলো সুন্দর ভাবে উদযাপন করবো।

এমবুইউ