বাম্পার ফলনে মরিচ চাষিদের মুখে হাসি

কুমিল্লা প্রতিনিধি মে ২০, ২০২০, ১১:৩৫ এএম
ছবি সংগৃহীত

কুমিল্লা: চলতি মৌসুমে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠে লাল টুকটুকে পাকা মরিচ তোলা ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার নারী-পুরুষসহ শিশুরাও। নদীবেষ্টিত এ উপজেলায় এখন চলছে মরিচ তোলার মৌসুম। মরিচ এখানকার মানুষের প্রধান ফসল।

পাশাপাশি ভালো বাজার মূল্য এবার মরিচ চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। প্রথমে কাঁচা মরিচ বিক্রি করে ভালো দাম পেয়ে এখন মৌসুম শেষে পাকা মরিচ শুকানো হচ্ছে। চরাঞ্চলসহ মরিচ চাষের নির্দিষ্ট এলাকায় এখন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে শুকনো মরিচের গন্ধ। দিন-রাত মরিচ নিয়ে কাজ করার পরেও মরিচ চাষিদের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। তিতাসের মাঠে-মাঠে এখন যত দূর চোখ যায় শুধু মরিচ, আর মরিচ। টিনের চালে, বাড়ির ওঠানে, বিদ্যালয়ের ছাদে এমনকি ফসলি জমিতে লাল টুকটুকে মরিচের পসরা সাজিয়ে রেখেছে চাষিরা।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তিতাসের চরাঞ্চলে এবার মরিচের উৎপাদন ভালো হওয়ার পাশাপশি বাজারে উপযুক্ত দাম পেয়ে কয়েক হাজার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষি এবার নিজদের ভাগ্যই বদলে ফেলেছে। মরিচ চাষিরা জানিয়েছে, গত ৪/৫ বছর মরিচের দাম বাড়লেও ভালো ফলন পাওয়া যায়নি। এবার একই সাথে ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চাষিরা এবার কয়েক বছরের লোকসান এক মৌসুমেই পুষিয়ে নিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৯০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফলনও ভাল হয়েছে। এ এলাকায় বেলে-দোঁআশ মাটি হওয়ায় মরিচ চাষের জন্য বেশী উপযোগী।

আগামীনিউজ/মিজান