সরকারি ব্যাংকের সব শাখা আজ থেকে খোলা

যুগান্তর মার্চ ৩১, ২০২০, ০৩:৪৪ এএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির দিনগুলোয় সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব ধরনের চেক লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ক্লিয়ারিং হাউস খোলা থাকবে। সরকারি খাতের বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে ওই সময়ে খোলা থাকবে সরকারি ৪ ব্যাংকের সব শাখা।

সূত্র জানায়, ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড চালু রাখা এবং সরকারি খাতের বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের আলোকে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকদের জন্য লেনদেন সীমিত থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ সময়ে গ্রাহকরা সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমই সম্পন্ন করতে পারবেন। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণ ছুটির দিনগুলোয় সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এর মধ্যে রয়েছে নগদ জমা, নগদ উত্তোলন, একই শাখার মধ্যে বিভিন্ন হিসাবে টাকা স্থানান্তর ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন। পরে তা আরও বাড়িয়ে ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি), পে-অর্ডার ইস্যু ও অন্য ব্যাংকের শাখার হিসাবে টাকা স্থানান্তর করার সুযোগ দেয়। তবে আন্তঃব্যাংক বা আন্তঃশাখা চেক লেনদেনের সুযোগ ছিল না। সোমবার একটি সার্কুলার জারির মাধ্যমে সব ধরনের চেক লেনদেন করার জন্য সাধারণ ছুটিকালীন আজ মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস খোলা থাকবে। ওই সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জরুরি চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবাসামগ্রীর সরবরাহ সচল রাখতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ সময় জরুরি সামগ্রী আমদানির এলসিও খোলা যাবে।

এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে সরকারি খাতের ওএমএস কার্যক্রমসহ দুস্থ ও অসহায় মানুষকে দেয়া নানা ধরনের সেবা, বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদানসহ নানাবিধ প্রয়োজনে আন্তঃব্যাংক লেনদেন করতে হয়। এসব কাজের বেশিরভাগই করছে সরকারি খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক। ফলে এসব কাজের জন্য সরকারি খাতের ওই ৪ ব্যাংকের সব শাখা আজ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খোলা থাকবে।

তবে সার্বক্ষণিকভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথগুলো খোলা থাকবে। এটিএম বুথগুলোয় পর্যাপ্ত নগদ টাকা সরবরাহ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া গ্রাহকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন বা কেনাকাটা করতে পারবেন। চালু থাকবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোও।

অনলাইন লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) ছুটিকালীন সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। এর মধ্যে যেসব লেনদেন হবে সেগুলোর অর্থ দেনা-পাওনার হিসাব সম্পন্ন হবে ছুটির পরের প্রথম কার্যদিবসে। এর ফলে গ্রাহকদের অনলাইনে ব্যাংকিং লেনদেনে কোনো সমস্যা হবে না। সার্বক্ষণিক অনলাইন লেনদেন করা যাবে।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এসব লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য আগামী ১ ও ২ এপ্রিল বিইএফটিএন প্লাটফরমটি খোলা থাকবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে।

আগামী নিউজ/নাঈম