ঢাকাঃ নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন নৃত্যশিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ রেজাউল হায়দার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে মানব পাচারের অভিযোগে সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছেন সিআইডি (ঢাকা মেট্রো উত্তর বিভাগ) কর্মকর্তারা।
শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, ‘গত ২ জুলাই দুবাই পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজম খান, তার দুই সহযোগী ডায়মন্ড ও আনোয়ার হোসেন ওরফে ময়নাকে ঢাকার নিকেতন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার হন আজমের বাংলাদেশি প্রতিনিধি নির্মল সরকার ও মো. ইয়াছিন। এরইমধ্যে আজম খান ও তার দুই সহযোগী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেই জবানবন্দির ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে। জবানবন্দিতে আসামিরা বলেছেন, নারী পাচারের ঘটনায় মূলত কয়েকজন নৃত্য সংগঠক ও শিল্পী জড়িত। শুধু তাই নয়, এসব কাজে জড়িত ছোটখাটো ক্লাবের মালিকরাও। যারা ক্লাবে অথবা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নাচ করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ মূলত তাদেরকে টার্গেট করে। দেশের কয়েকটি জেলায় তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে পাচারের শিকার হওয়া অনেক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলি। তারপর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মৃণাল কান্তি সাহা গত ২ জুলাই লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আজমসহ আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড, মো. স্বপন হোসেন, নির্মল (এজেন্ট), আলমগীর (দুবাই ক্লাবের সুপারভাইজার), আমান (এজেন্ট) ও শুভকে (এজেন্ট) আসামি করা হয়।’
তিনি আরো বলেন,‘আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল, আজম খান ও তাঁর দুই ভাইসহ মামলার আসামিরা দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যান্স বারে মেয়েদের যৌনকাজে বাধ্য করতেন। এই তিনজনের প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন নাচের ক্লাব বা সংগঠন থেকে মেয়েদের সংগ্রহ করে কাজ দেওয়ার নামে দুবাই পাঠাতেন। ইভান শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আমাদের কাছে ছিল। আমরা সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এবং ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছি।’
‘ধ্যাততেরিকি’ সিনেমায় নৃত্য পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। তিনি ড্যান্স ট্রুপ নামে একটি ড্যান্স কোম্পানি পরিচালনা করে আসছিলেন। বিভিন্ন করপোরেট অনুষ্ঠানে নাচ করে তাঁর দল।
আগামীনিউজ/মিথুন