স্কুল-কলেজের

সভাপতি নির্বাচনে তিনটি শব্দ বাতিলে রুল

ডেস্ক রিপোর্ট অক্টোবর ৫, ২০২০, ০৯:৩৮ পিএম
ছবি সংগৃহীত

ঢাকাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি গর্ভনিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা থেকে গভর্নিংবডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়ন বা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষানুরাগী/খ্যাতিমান সমাজসেবক/জনপ্রতিনিধি এই শব্দগুলো কেন বাদ দেওয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, রাজশাহীর উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটি/গর্ভনিংবডি বিধিমালায় সভাপতি নির্বাচন বা মনোনয়নের ক্ষেত্রে  শিক্ষানুরাগী/খ্যাতিমান সমাজসেবক/জনপ্রতিনিধি এই তিন শব্দ থাকার কারণে অশিক্ষিতি বা স্বল্প শিক্ষিতরা সভাপতি হওয়ার সুযোগ পান। এটা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিংবডি/ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের যোগ্যতার সঙ্গে সাংর্ঘষিক। যেমন, প্রাইমারি স্কুল, ডিগ্রি কলেজ এবং ফাজিল-কামিল মাদ্রাসায় গর্ভনিংবডি/ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে ডিগ্রি পাসের যোগ্যতা থাকতে হয়। তাই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি/গর্ভনিংবডি বিধিমালা ২০০৯ থেকে উপরোক্ত তিন শব্দ উঠিয়ে দেওয়া হলে মাধ্যমিক স্কুল/ ইন্টামিডিয়েট কলেজ/দাখিল-আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষিত যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের সভাপতি হওয়ার দ্বার উন্মোচিত হবে।

এর আগে সিরাজগঞ্জ সদর ‍উপজেলার ডা. তাসমিয়া মতিন হাইস্কুলের দাতা সদস্য মো. সালেহ মাহমুদ মিয়া রিট আবেদনটি করেন।

রিট আবেদনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি গর্ভনিং ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধিমালা ২০০৯ এ গভর্নিংবডি/ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়ন বা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষানুরাগী/খ্যাতিমান সমাজসেবক/জনপ্রতিনিধি এই শব্দগুলো রাখাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

আগামীনিউজ/জেহিন