আসছে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা

ডেস্ক রিপোর্ট ডিসেম্বর ৩, ২০২০, ০৪:৫১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ গত সপ্তাহে প্রণোদনা ঋণ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সিরিজ বৈঠকের প্রথম অধিবেশনে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তির ওপর বিশেষ জোর দেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী আলোচকরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জানান যে, নারী উদ্যেক্তাদের ঋণ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পৃথক প্যাকেজের কথা চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।

তবে ঋণ প্রাপ্তির সুবিধা নারী উদ্যোক্তরা কতটা নিতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এর আগে প্রদেয় করোনা প্যাকেজের সুবিধাও নারী উদ্যোক্তরা নিতে পারেননি। শুধু তাই নয় সরকারের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক সময়েও নারী উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে নানান রকম প্যাকেজ থাকে। সেসব প্যাকেজের ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে তেমনভাবে প্রচার না হওয়ায় সেটি গ্রহণের সুযোগ সাধারণ নারী উদ্যোক্তরা তেমন নিতে পারেন না।

এক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠনগুলোরও দুর্বলতা আছে। তারা তাদের দাবিসমূহ সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না।’ তিনি এজন্য বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআই) সহ নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠনগুলোকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রদেয় করোনা প্যাকেজে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এটি বাড়িয়ে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ করা উচিত। পাশপাশি এ প্রণোদনা বাস্তবায়িত হয়েছে খুব সীমিত আকারে। এর কারণ প্রণোদনাটি দেয়া হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে। আর ব্যাংক সেটি প্রদানে গ্রাহকদের অতীতের রেকর্ড চেক করে তা প্রদান করেছে।’

‘আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে, দেশের নারী উদ্যোক্তাদের বৃহৎ অংশের কোনো রেজিস্ট্রেশনই নেই। তারা ক্ষুদ্র ও মাঝারী পর্যায়ে অথবা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকে। ফলে তারা এ সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেননি।’

‘আবার নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে অধিকাংশই পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেক্ষেত্রে দেশের ৩টি বড় উৎসব স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ ও ঈদুল-ফিতরে এবার পোশাক বিক্রি তেমন হয়নি।

ফলে এ ধরনের উদ্যোক্তাদের অবস্থা এমনতেই সংকটে রয়েছে। ফলে ব্যাংক তাদের টাকা দিলে তা ফেরত আসবে কি না তা বিবেচনা করায় সেখান থেকেও তারা বঞ্চিত হয়েছে।’ ‘অপরদিকে নারী উদ্যোক্তাদের আরেকটি অংশ জড়িত পার্লার ব্যবসার সঙ্গে। করোনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনেকে আগে প্রতিমাসে পার্লারে গেলেও এখন পর্যন্ত সেখানে যাচ্ছেন না।’

‘আর নারী উদ্যোক্তাদের অনেকেই শুধু সংসারের কিছু আয় বৃদ্ধির জন্য সীমিত আকারে কাজ করে থাকেন। এর ফলে তারা বিভিন্ন উদ্যোক্তা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হন না। কিন্তু এ অবস্থার দ্রুত উত্তরণ হচ্ছে। গত দুবছর ধরে আমরা লক্ষ্য করছি জেলা-উপজেলা পর্যায়েও বিডব্লিউসিসিআইর সদস্য সংখ্যা বাড়ছে।’

আগামীনিউজ/এএইচ