ঈদ শেষে কমেছে মুরগি ও সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৯, ২০২০, ১১:৩৫ এএম
ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: ঈদকে সামনে রেখে বেশ কয়েক দফা বাড়ে  মুরগির দাম। তবে ঈদের পর পরই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মুরগির বাজারে। বর্তমানে সব রকমের মুরগির দাম এখন নিম্নমুখী। কমেছে সবজির দাম। অধিকাংশ বাজারে বেশির ভাগ সবজির কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ মে) রাজধানীর ভিবিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা কমে বর্তমানে কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৬০ টাকা, পুদিনা পাতা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিদরে।

দাম কমে প্রতিকেজি করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৩০ টাকা, ঢেরস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুরলতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা- ধুন্দল-ঝিঙা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা বাড়তি রয়েছে টমেটো ও পেঁপের দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া প্রতিহালি কলা (আকার ভেদে) ১৫ থেকে ২৫ টাকা, প্রতিহালি ছোট লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় সাইজের লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, মহিশের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা। তবে গরু-খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে মুরগির দাম। কেজিতে ৩০ টাকা কমে বর্তমানে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিদরে। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিদরে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৫০০ টাকা। নলা (ছোট রুই) মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

আগামীনিউজ/মিজান