অভাব-অনটনে চলছে চার পুরুষের পৈতৃক পেশা

নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৮, ২০২১, ০৬:৫৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ পৈতৃক পেশায় চলছে না সংসার। আগে দিন আনতে পানতা ফুরাত। এখন পান্তাও যেন জুটছে না। অনেকটা টেনে হেঁচড়ে চলছে জীবন। বলছিলাম জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়নের রানিয়াচং গ্রামের ছিপত আলীর ছেলে মফিজ মিয়ার কথা। তিন সন্তান নিয়ে ধরে রেখেছেন চার পুরুষের পৈতৃক পেশা ঘোড়া দিয়ে ঘানি ভাঙা। বাড়িতে রয়েছে দুটি ঘানি। আর ঘানি টানতে রয়েছে দুটি ঘোড়া।

মফিজ জানায়, ঘোড়ার একটি পেয়েছেন শ্বশুরের কাছ থেকে। প্রতিদিন দুটি ঘানিতে ভাঙানো হয় ৫০ কেজি সরিষা। আর প্রতি লিটার খাঁটি সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা দরে। তবে সরিষার দামের ওপর ওঠানামা করে তেলের দাম।

মফিজ জানান, তার পরিবারে তিন সন্তান, স্ত্রী ও বাবাসহ ছয়জন সদস্য রয়েছে। এই ঘানি ভাঙার তেল বিক্রি করেই টানছেন সংসারের ঘানি। অতি কষ্টে অভাব-অনটনে চলছেন কোনোমতে। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে হয়েছেন নিঃস্ব। পুঁজির অভাবে ক্রয় করতে পারেনি সরিষা। অভাবে বন্ধ হওয়ার জোগার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা।

মফিজের তেলের ক্রেতা ফিরোজ মিয়া বলেন, ঘানি ভাঙা সরিষার তেল নিয়ে ব্যবহার করি। মফিজ মিয়ার সরিষার তেল শতভাগ গুণগত মান সম্পন্ন ও শতভাগ খাঁটি সরিষার তেল। তার পাশে বৃত্তবানরা দাঁড়ালে খাঁটি তেল পেয়ে যেমন ক্রেতাদের উপকার হবে, তেমনই মফিজ মিয়ার ভাগ্যের চাকাও সচল থাকবে।

মফিজ মিয়া বলেন, বাপদাদার পৈতৃক পেশাতে থেকে তিনি জনতার সেবায় থাকতে চান। এজন্য প্রয়োজন পুঁজি। তিনি বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।

আগামীনিউজ/এএইচ