করোনার ক্ষতি মোকাবেলায়

সরকারি অনুদান চায় ক্ষুদ্র, কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা

সাইফুল হক মিঠু এপ্রিল ১, ২০২০, ০১:৩১ পিএম

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বড় ব্যবসার সঙ্গে ক্ষতি হচ্ছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের। উদ্যোক্তাদের দাবি পুঁজি কম থাকায় করোনা ধাক্কা মোকাবেলা করা তাদের পক্ষে সহজ হবেনা। এই জন্য গার্মেন্টস শিল্পের মতো তারাও সরকারি অনুদান চান।

রাজাধানীর মিরপুর ১০ নাম্বারে দর্জি নামের ছোট একটা বুটিক শপ চালান তাসলিমা। ২০১৫ সালে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। অনেক বাধা-সংগ্রাম করে এগিয়ে নিচ্ছিলেন।গত তিন বছরে বেশ ভালোই উন্নতি হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে হোঁচট খেল তার অগ্রযাত্রা। এরই মধ্যে পণ্য বিক্রি বন্ধ হয়ে সংকটে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তাসলিমা জানান, পহেলা বৈশাখ ও ঈদকে সামনে রেখে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এরই মধ্যে অনেক পণ্য বানানো শেষ হয়েছে।।কাঁচামাল খরচ, প্রতিষ্ঠানের ভাড়া, কারখানার কর্মচারীদের বেতন, ইউলিটি বিল সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে তার ছয় লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তবে বর্তমানে যে অবস্থা দেখছি। বৈশাখের আয়োজন হচ্ছে না। ঈদের সময়টাও খুব ভালো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।

তাসলিমা বলছেন, এই সংকটকালে ব্যবসাটা টিকিয়ে রাখাই তার জন্য কঠিন। তার মতো এমন অনেক ছোট উদ্যোক্তা এখন শঙ্কিত সামনে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা নিয়ে। 

এই সংকটকালে কয়েক লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য সরকারকে ফান্ড গঠনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। উদ্যোক্তারা বলছেন, তাদের জন্য নিতে হবে বিশেষ পদক্ষেপ। অন্যথায় তারা টিকে থাকতে পারবেন না।

এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, করোনার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বেশি সমস্যায় পড়বে।তাদের প্রতি সরকারের বিশেষ নজর দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শুধু মাত্র বড় খাত গুলোকে না দিয়ে ছোট খাত গুলো (যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে) তাদের যাতে দেয়া যায়, সেভাবে সরকারি ভর্তুকি পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন। উৎপাদন খাতে, কৃষি খাতে, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পখাতে যারা নতুন করে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের দিকে নজর রাখতে হবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বেশি। তাদের চেয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য সহায়তা সবচেয়ে বেশি জরুরি। 

আগামীনিউজ/মিঠু/মিজান