দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড

১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

দিনাজপুর প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০৪:৫৮ পিএম

দিনাজপুর: অনিয়ম-দুর্নীতি এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সচিব ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দিনাজপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজনের হিসেবও নিয়েছেন। তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালে। ২০১৩ সালে স্থায়ীত্ব হয় কর্মচারীদের চাকুরি। কিন্তু তাদের অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। আলিশান বাড়ি,গাড়ি,জায়গা-জমি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,ইটভাটাসহ নামে-বেনামে অঢেল ব্যাংক-ব্যালেঞ্জ রয়েছে তাদের।

শুধু কর্মচারীরা নয়, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একই অভিযোগ। অনিয়স-দূর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্যের অসংখ্য অভিযোগ। এরমধ্যে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক আবেদ আলী অন্যতম। জিরো থেকে হিরো। তবে, তিনি তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সরিসরি বা ক্যামরার সামনে কথা বলতে টালবাহানা করলেও মুঠোফোনে বলেছেন, সব ভোকাস ! দুদক আমার বিষয়ে সব তদন্ত করেছে। আপনারা আর কি করবেন ?

অনিয়ম-দুর্নীতি এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইতোমধ্যে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন, সাবেক বিদ্যালয় পরিদর্শক রবীন্দ্র নারায়ন ভট্রাচার্য,

বর্তমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজুর রহমান, সচিব আমিনুল হক সরকার, সহকারী সচিব ইব্রাহিম আজাদ, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রেজাউল করিম চৌধীরী, সেকশন অফিসার ছবর আলী, মন্টু কুমার রায়, রিয়াজুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী মাসুদ আলম, নিন্মমান সহকারী মোস্তফা কামাল ও ক্যালিগ্রাফিক রতন চন্দ্রের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়ে তলব করেছে দুদক।

এদের  নিয়ে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা।

আগামী নিউজ/আরএম