পিঠা বাঙালির ঐতিহ্য। সেই পিঠা-পার্বণের আনন্দধারায় শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী খুলনা বিভাগের জাতীয় পিঠা উৎসব।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও খুলনা সিটি কর্পেরেশনের সহযোগিতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ খুলনা বিভাগ এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে।
শুক্রবার বিকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পাঁচ দিনব্যাপী বিভাগীয় জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এসময় বলেন, পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এই পিঠা উৎসব আমরা হারাতে বসেছিলাম। এ উৎসবের মাধ্যমে পিঠার ঐতিহ্য ফিরে আসবে। পিঠা একটি শিল্প হতে পারে। আমাদের এই ঐতিহ্য যাতে হারিয়ে না যায় সেদিকে সকলের লক্ষ্য রাখতে হবে। এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সিটি মেয়র বলেন, পাকিস্তান আমলের ৪০ বছরে আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য আঘাত হানে। যার কারণে আমাদের ঐতিহ্য পিঠা উৎসব সামাজিকভাবে করা সম্ভব হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সাড়ে তিন বছর বাঙালির হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে নতুনভাবে বর্তমান প্রজন্মের সন্তানদের কাছে তুলে ধরার জন্য সেই সময়ের সরকার পদক্ষেপ নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা এ ব্যপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছেন। এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম সঠিকভাবে ঐতিহ্য জানতে পারবে। পিঠা উৎসবের কৃষ্টিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে মেয়র সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আব্দুর রশিদ এবং জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
বিভাগীয় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে দেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির।
ধন্যবাদ জানান বিভাগীয় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু।
এসএস