স্পিরিট পানে মৃত্যু 

চার মাস পরে কবর থেকে উঠলো লাশ

চার মাস পরে কবর থেকে উঠলো লাশ জানুয়ারি ২০, ২০২০, ০৭:০৪ পিএম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে স্পিরিট পান করে ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনায় দাফনের তিন মাস ২৪ দিন পর দু’জনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আগামী কাল উত্তোলন করা হবে আরো দুই জনের লাশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে ড্রাইভার মহিন উদ্দিন (৪০) ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বাগান বাড়ির পার্শ্বে মৃত রইসুল হকের ছেলে সবুজ (৪৫) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। অপর দুইজন চরকাঁকড়া গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক (৭০), বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে রাইটার ওমর ফারুক লিটন (৫০) এর লাশ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) উত্তোলন করা হবে।

উত্তোলনের পর লাশ দু’টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুনজ্জামান খান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বসুরহাট পৌরসভার ‘রফিক হোমিও হল’ থেকে রেকটিফায়েড স্পিরিট ক্রয় করে (নেশা হিসেবে) পান করে নূর নবী মানিক, ওমর ফারুক লিটন, রবি লাল দে, সবুজ, মহিন উদ্দিন ড্রাইভার ও আবদুল খালেকসহ ৬ জন মৃত্যু বরণ করে। নূর নবী মানিক ও রবি লাল দে’র লাশের ময়না তদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল। অপর ৪ জনের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করায় আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ উত্তোলন করার বিষয়ে নোয়াখালীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশ দিয়েছেন। 

স্পিরিট পানে ৬জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক হোমিও হলের মালিক কথিত হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম বর্তমানে নোয়াখালী কারাগারে রয়েছেন। 

আগামী নিউজ/টিএস