চুরি করতে গিয়ে ধরা, ছাড়া পেয়ে থানায় মামলা দিল চোর!

জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা অক্টোবর ২৯, ২০২২, ০৬:৫৭ পিএম

সাতক্ষীরাঃ মৎস্যঘের থেকে মাছ চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে আরবিন্দু বিশ্বাস নামের এক চোর। পরে ছাড়া পেয়ে থানায় গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের নামে মামলা দিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরার দেবহাটায় এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি শনিবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর হোসেন। 

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে রত্নেশ্বরপুর বিলে একটি মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছেন তিনি। জনপ্রতিনিধি হওয়ায় নিয়মিত মৎস্যঘের দেখাশুনা করতে পারতেন না। সেজন্য প্রায়ই তার মৎস্যঘের থেকে মাছ চুরি হতো। তার ঘেরের পাশেই ছিল অরবিন্দু বিশ্বাসের ঘের। ‍ যিনি ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি। মাছ চুরিতে আরবিন্দ জড়িত এমন সন্দেহ হলেও হাতেনাতে ধরতে না পারায় বিচার করা যাচ্ছিল না। 

সম্প্রতি নূর হোসেন তার ছেলে সুমন হোসেনকে মৎসঘের দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত করেন। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর ) সুমন আকর্ষিক তাদের মৎস্যঘেরে হাজির হন। এসময় তাদের ঘের থেকে পাশ্ববর্তী ঘের মালিক অরবিন্দু বিশ্বাসকে জাল ফেলে মাছ ধরতে দেখেন। সেসময় সুমন হোসেন চোর অরবিন্দুকে আটক রেখে তার বাবা ইউপি সদস্য নূর হোসেনকে খবর দেন। তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য নূর হোসেন মৎস্য ঘেরে পৌঁছে অরবিন্দু চোরকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেন। পাশাপাশি মেম্বার হিসেবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানান । 

এবিষয়ে চোর অরবিন্দুকে নিয়ে শালিসে বসারও উদ্যোগ নেন চেয়ারম্যান। কিন্তু চেয়ারম্যানের ডাকে শালিসে উপস্থিত না হয়ে অরবিন্দু অসুস্থতার ভান ধরে দেবহাটার সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়। অতঃপর নিজেকে বাঁচাতে অরবিন্দু উল্টো নূর হোসেন মেম্বার ও তার ছেলে সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে মারপিটের মিথ্যা মামলা করিয়েছেন।
 
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অরবিন্দুর কাছে জানতে চাইলে সে মামলার কথা স্বীকার করে ফোন কেটে দেয়। দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এসএস