সিত্রাংয়ের পর মোংলায় তীব্র কুয়াশা ও শীত জেঁকে বসেছে

জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট অক্টোবর ২৭, ২০২২, ০৫:৫৪ পিএম

বাগেরহাটঃ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চলে যাওয়ার পর থেকেই হঠাৎ যেন শীত জেঁকে বসেছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মোংলায়। কুয়াশার ফলে মোংলা বন্দরের পশুর ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলে নৌযান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বাবুল হোসেন নামের এক নৌযান শ্রমিক বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে রাতে ট্রলার চালানো যাচ্ছে না, টর্চ লাইটেও দেখা যায় না কিছু।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, হঠাৎ কুয়াশা বাড়ায় রাতে পশুর নদীতে নৌযান (কার্গো, কোস্টার, ট্যাংকার) চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। রাতে বেশিরভাগ সময় বসে থেকে দিনে চালাতে হচ্ছে নৌযানগুলো। কুয়াশায় রাতে নদীতে কিছু দেখা যায় না, তাই দুর্ঘটনার ভয়ও রয়েছে মাস্টার, সুকানিদের।

বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহ-সভাপতি মো. মাইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, ‘একদিকে শীতের কুয়াশা ও অন্যদিকে নদীতে পর্যাপ্ত মার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় বর্তমানে নৌযান চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’

স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে রাতে, সেই সঙ্গে রয়েছে বাতাসও।

পৌর শহরের কুমারখালী এলাকার বাসিন্দা বাদল তালুকদার বলেন, ইদানিং রাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো টপটপ কুয়াশা পড়ে।

মোর্শেদ সড়কের বাসিন্দা নিজাম হাওলাদার জানান, রাতে কুয়াশার সঙ্গে শীতও পড়ছে বেশ। লেপ-কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে এখন।

এদিকে হঠাৎ শীত পড়ায় অনেকে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহীন হোসেন বলেন, হঠাৎ করে শীত পড়ায় শিশু ও বয়স্করা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। হাসপাতালে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, সাধারণত নভেম্বরে শীত পড়তে শুরু করলেও এবার সিত্রাংয়ের কারণে আগাম শীত চলে এসেছে।

তিনি বলেন, ঝড়ের আগে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও ঝড়ের সময় ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এখন ৩১ ও ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তাই আগেভাগে শীত পড়তে শুরু করেছে ।

এসএস