পঞ্চম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে মামুনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৭, ২০২২, ১২:১০ পিএম
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জঃ পঞ্চম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। রোববার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, ২০২১ সালে সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় চার্জশিটভুক্ত সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে তাকে আদালতে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‌‘দুপুর ১২টায় মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোলা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। আজ চার্জশিটের ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। তবে এখন পর্যন্ত তিন জনের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। সাক্ষীরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি, রতন মিয়া, পারভেজ ও মেহেদী হাসান।’

নারায়ণগঞ্জ কোট পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। দুপুর ১২টায় তাকে আদালতে তোলা হবে। 

এর আগে ৯ মে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন চার্জশীটের ৯ ও ১০ নম্বর সাক্ষী যথাক্রমে-নাজমুল হাসান শান্ত ও মো. শফিকুল ইসলাম। গত ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রিসোর্টের আনসার গার্ড ইসমাঈল ও রিশিপশন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।

তার আগে ১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় মামুনুলের বিরুদ্ধে রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ, রিসিপশন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম অনিক ও আনসার গার্ড রতন বড়াল সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করে। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যায়। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।

এমবুইউ