সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-দেবর আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৬, ২০২২, ০৯:৫৭ এএম

কিশোরগঞ্জঃ জেলার পাকুন্দিয়ায় সেপটিক ট্যাংক থেকে রাশিদা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলার সুখিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ও দেবরকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা আবদুল মোতালিবের মেয়ে।

আটক গৃহবধূর স্বামী মো. মাসুদ মিয়া (৪০) ও দেবর মো. সোহেল মিয়া (৩৭) উপজেলার সুখিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সোহেল সুখিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা আবদুল মোতালিব বাদী হয়ে স্বামী ও দেবরকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রায় ২০ বছর আগে মাসুদের সঙ্গে বিয়ে হয় রাশিদার। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী ও দেবর নানাভাবে রাশিদাকে নির্যাতন করতেন। টাকা এনে দিলে সেই টাকা দিয়ে জুয়া খেলে উড়াতেন মাসুদ। পরে আবারও টাকার জন্য চাপ দিতেন। এ নিয়ে পরিবারে ঝামেলা লেগেই থাকত। শুক্রবার রাত ২টার পর যেকোনো সময় রাশিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে মাসুদ আর সোহেল। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংকে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় স্বামী মাসুদ মিয়া ও দেবর সোহেলকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন রাশিদার বাবা আবদুল মোতালিব।

ওসি আরও জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে নিহতের স্বামী মাসুদ ও দেবর সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্নও আছে।

রাশিদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এমবুইউ