দুপচাঁচিয়ায় মামলার স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধি, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) মে ২৯, ২০২২, ১০:৫৩ এএম

বগুড়াঃ দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সরিষা চুরির সন্দেহে  একটি ক্লাবে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয় এক ব্যক্তি কে। এরপর স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে সেখান থেকে নির্যাতিত ব্যক্তি কে উদ্ধার করে পুলিশ। ১১
এপ্রিল এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বগুড়া সিনিয়র ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে
নির্যাতিত ব্যক্তির বড় ভাই নূরনবী মন্ডল ।

নির্যাতিত ব্যক্তির নাম দুলাল হোসেন। সে দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলতাফনগর বাজারে ইলেকট্রিক মেকার হিসাবে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে।

তবে দায়েকৃত মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো এবং হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্বাক্ষীদের পক্ষ থেকে তালোড়া বেলঘরিয়া গ্রামের জাশদ সরদারের ছেলে সাবেক মেম্বার মুকুল হোসেন।

শনিবার (২৮ মে) দুপচাঁচিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলনের মাধ্যমে ওই অভিযোগ করা হয়। সাবেক মেম্বার মুকুল হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১১ এপ্রিল আলতাফনগর মহাকুড়ি গ্রামের ফারাজ আলী প্রামানিকের ছেলে আব্দুল মতিন প্রামানিকের সরিষাভাঙ্গা তেলের মিলঘর থেকে কিছু সরিষা চুরি হয়। তালোড়া বাজারের চাঁনমিয়া মন্ডলের ছেলে আলতাফনগর বাজারে ব্যবসারত ইলেক্ট্রিক মেকার দুলাল হোসেন কে চোর হিসাবে সন্দেহ  করে তাকে ওই রাতে আলতাফনগর রেলস্টেশন সংলগ্ন চলন্তিকা নামক একটি ক্লাবে আটকে রেখে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে আমাকেসহ কয়েকজন কে স্বাক্ষী করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বাক্ষী হওয়ার পর থেকে বিবাদী পক্ষ থেকে হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখানো হয়। এতে স্বাক্ষীদের পক্ষ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে  বগুড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খ-অঞ্চল আদালতে উক্ত মিঠু, ফজলু সহ তিনজনের নাম উল্লখ করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ মদদে সরিষার মিল মালিক আব্দুল মতিন বাদি হয়ে স্বাক্ষী পারভেজ রিজভী, সাবেক মেম্বার মুকুল, বেলাল হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, বর্তমানে স্বাক্ষী পারভেজ রিজভীসহ তালোড়া বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকিতে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে। সেইসাথে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে হুমকিদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক।

দেওয়ান পলাশ/এমবুইউ