খোকসায় পেঁয়াজ বীজের ফলন কম হওয়ার শঙ্কা চাষীদের

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মার্চ ২১, ২০২২, ১০:৩২ এএম

কুষ্টিয়াঃ জেলার খোকসায় পেঁয়াজের কদমের জমিতে মৌমাছি না আসায় পরাগায়ণ ব্যহত হওয়ায় বীজের (দানা) ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি পেঁয়াজের বীজ (দানা) আবাদ মৌসূমে উপজেলার ৯৯ টি গ্রামের প্রায় ৩১০ কৃষক ৬৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল লাল তীর এবং বারী পেঁয়াজ-১ তাহের পুর নামের পেঁয়াজের কদম বীজ (দানা) আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে দুই থেকে আড়াই মন বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে। প্রতিমন পেঁয়াজ বীজ (দানা) একলাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেন কৃষক। যা অন্য ফসলের তুলনায় ৬ গুন বেশী লাভ হয়। এ বছর শীতমৌসুমে বেশী বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেক কৃষক পেঁয়াজের কদম (দানা) আবাদ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত যারা আবাদে যেতে পেরেছিল তাদের জমিতে ব্যপক কদম এসেছে। কিন্তু পেঁয়াজের কদমের জমিতে মৌমাছি না আসায় পরাগায়ণ ব্যহত হচ্ছে। ফলে কদমের গায়ে মধু শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

পৌর এলাকার মালিগ্রাম মধ্যপাড়ার মাঠে সরেজমিন গিয়ে বাদশা শেখসহ একাধিক পেঁয়াজের কদম (দানা) চাষীর সাথে কথা বলা হয়। এই কৃষক প্রায় পৌনে ৪ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের কদমের আবাদ করেছেন। তার জমিতে অনেক বড়বড় কদম হয়েছে। কিন্তু এখন জমিতে মধূ সংগ্রহকারী মৌমাছির প্রয়োজন। মাঠে মৌমাছি না আসায় পরাগায়ণ হচ্ছে না। এ ছাড়া মধু শুকিয়ে কদম গুলো বাদামী রং ধারণ করেছে। কদম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবছর বীজ (দানা)র ফলন কমে যেতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। স্বাভাবিক ফলন ফলে তিনি প্রায় ১০ মন পেঁয়াজের বীজ (দানা) পেতেন। বর্তমান মাঠের অবস্থা দেখে মনে করছেন তার উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসতে পারে। এই পৌনে চার বিঘা জমিতে কদমের আবাদে তার প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

ইসলাম গ্রামের প্রান্তিক কৃষক অঞ্জন বিশ্বাস জানান, তিনি ১০ কাঠা জমিতে কদমের আবাদ করেছিলেন। মাত্র ১০ কেজি দানা তিনি ঘরে তুলেছেন। ফলন ভালো হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকুলে তাই শুধু পেঁয়াজের কদম বীজ (দানা) নয় পেঁয়াজের ভালো ফলন হবে। আর কৃষকের অজুহাতের শেষ নেই। ওরা ভাবে অজুহাত তুলতে পারলেই সরকারী সাহায্য সহযোগীতা বুঝি পাওয়া যাবে।

হুমায়ন কবির/এমএম