নেত্রকোণায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন 

নেত্রকোণা প্রতিনিধি নভেম্বর ৮, ২০২১, ০৩:৪৯ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

নেত্রকোণাঃ জেলার সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এস.এম শফিকুল কাদের সুজা নিজ কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্যাতন, হেনস্থার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে  সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

গতকাল সোমবার বেলা ১১টার সময় নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় চেয়ারম্যান লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের এস.এম শফিকুল কাদের সুজার পক্ষে বিভিন্ন শ্রেণির-পেশার মানুষ  উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এস.এম শফিকুল কাদের সুজা অভিযোগ করেছেন,  আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজহারুল হক তুহিন গত ২৭অক্টোবর রাতে স্বশস্ত্র কর্মীদের নিয়ে ইউনিয়নের সুলতানগামী গ্রামে তার কর্মীদের বেধরক মারপিট করে রক্তাক্ত করেছে। এই ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কমল খান নামের একজনকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য  পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মিন্টু মিয়া, আলমগীর মুনসুর ও ফিরোজ খানসহ বেশ কয়েক জন কর্মীকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর ২৮অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে লক্ষীগঞ্জ বাজারে কর্মীদের মারধর ও নির্বাচন অফিস ভাংচুরের অভিযোগ করেন এস.এম শফিকুল কাদের সুজা।

সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজা আরও জানান, গত ৫ ও ৬ নভেম্বর ইউনিয়নের গদাইকান্দি ও লক্ষীগঞ্জ বাজারে গিয়ে তুহিনের কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় আমার কর্মীদের প্রচারে বাঁধা দেয়। পিচের মাথা নামের একটি স্থানে আমার কর্মী ফজলুর চায়ের দোকান বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া নসিবপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ জনগণকে ভয়ভীতি ও প্রচারে বাঁধা সৃষ্টি করে।

সুজা বলেন, ‘সবশেষ গত ৭নভেম্বর সকাল সাতটার দিকে লক্ষীগঞ্জ বাজারে প্রচারণা চলাকালে তুহিনের উপস্থিতিতে সাফায়েত, জোবায়ের, কাশেম দিলু ও এন্টেশ মিয়াসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে। তুহিনের এই হেন কর্মকান্ডে আমার ইউনিয়নে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।

তিনি লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নে শঙ্কামুক্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ করেন।      

এর আগে গত ২অক্টোবর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেত্রকোণা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানিয়েছেন।

আবেদনে তিনি যে সকল কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলে আশঙ্কা করেছেন লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নে বিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষীগঞ্জ বিদ্যালয় ও বায়ড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

আগামীনিউজ/নাসির