শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষক আটক

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৭:৩০ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

নারায়ণগঞ্জ: জেলার রূপগঞ্জে চিপস কিনে দেয়ার কথা বলে ৪র্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অপহরনের পর ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ঘাতকরা। 

এ ঘটনায় শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে অভিযুক্ত প্রধান আসামীকে আটক করে পুলিশ। 

এরআগে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভক্তবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীর মা পারুল বেগম জানান, সে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ভক্তবাড়ী এলাকার সেলিম মিয়া স্ত্রী। গত শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তার দুসম্পর্কের চাচা কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোশারফ হোসেন তাদের বাড়ীতে আসে। তাকে সকালের নাস্তা খাওয়ানোর জন্য বললে সে ঘরের ভিতর গিয়ে বসে। তখন তিনি খাবার রান্না করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় মোশারফ হোসেন তার মেয়েকে দোকান থেকে চিপস কিনে দেবার কথা বলে বাড়ী থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার মেয়ে নিখোজ।

বহু খোজাখুজির পর না পেয়ে রাতে শিক্ষার্থীর মা পারুল বেগম রূপগঞ্জ থানায় অপরহরনের অভিযোগ এনে মোশারফসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভক্তবাড়ী এলাকায় মোশারফকে ঘুরতে দেখে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।

পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিক্ষার্থীকে অপহরণেরর পর ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করে কাশবনের ভিতরে নির্জন স্থানে ফেলে রেখেছে বলে সে স্বীকার করে। পরে তার তথ্যমতে বিকেলে জাঙ্গীর এলাকায় আনন্দ পুলিশ হাউজিং নামক আবাসন কোম্পানীর ভিতর কাশবন থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। 

এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে রূপগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ঘাতক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আগামীনিউজ/ হাসান