সিলেট-৩ আসনের এমপি হলেন হাবিব

নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০৮:৪৩ পিএম
সংগৃহীত

ঢাকাঃ সাংসদ মাহমুদুস সামাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনটিতে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। ১৪৯ কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩০৯ টি। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে হাবিব পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬০৪ ভোট।

 শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। সকাল ৮টা থেকে আসনের ১৪৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে উপনির্বাচনের ভোটদানে ভোটার আগ্রহ একেবারেই কম দেখা গেছে। দু’তিনটি কেন্দ্র বাদে প্রায় সব কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাবেক সাংসদ শফি আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। সকাল সোয়া ৮টায় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্বস্ত্রীক ভোট প্রদান করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। একই সময়ে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী ভোট দিয়েছেন নিজ কেন্দ্র দাউদিয়া গৌছ উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসায়।

সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ উপ-নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে একথা জানান তিনি।

এদিকে শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সেটা আশানুরূপ হয়নি।

যদিও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক তার কর্মী-সমর্থকদের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।

সিলেট-৩ আসনে প্রথমবারের মতো ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। মোট প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভোটারের মধ্যে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ১ লাখ ১৪ হাজার ৩০৯ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদুস সামাদ কয়েস করোনায় মৃত্যুবরণ করায় গত ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ইসি। এরপর দুই দফা ভোটগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে শনিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে মোট ১৪৯টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটারের এই আসনের সবকটি কেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।