সুন্দরগঞ্জে সেই ছাত্রদল নেতার সংবাদ সম্মেলন, সমালোচনার ঝড়

জাহিদ হাসান জীবন, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আগস্ট ৩, ২০২১, ০৩:৩৬ পিএম
ছবি : আগামী নিউজ

সুন্দরগঞ্জঃ বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক সময়ের দাপুটে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বামনডাঙ্গা আঞ্চলিক ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে অনুপ্রবেশকারী এ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ জেলা, উপজেলা কমিটির নিকট অভিযোগ করেছেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। 

এরই প্রেক্ষিতে ছাত্রদল তথা বিএনপির তকমা গা থেকে মুছে ফেলতে গিয়ে গাইবান্ধা জেলা শহরে করেছেন দু'দুটি সংবাদ সম্মেলন। তার এই দায়সারা সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে কঠোর সমালোচনার ঝড়। পাঠকদের অবগত করতে সেই চমকপ্রদ কয়েকটি ফেসবুক পোষ্ট কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি খয়বর হোসেন সরকার মওলা তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন- একজন খ্যাতিমান লেখকের উক্তি দিয়ে শুরু করি, 'আগে গৃহস্থ ধরত চোরের হাত, আর এখন চোর ধরে গৃহস্থের হাত।' আরো সহজ ভাষায় বহুল প্রচলিত একটি গ্রাম্য প্রবাদ সবার মুখে মুখে শুনতাম 'চোরের মায়ের ডাংগর গলা।'
আবহমান বাংলার এইগুলি চিরন্তন বাণী। চন্দ্র-সূর্র্যের মত চিরসত্য এই বাণীগুলির যুৎসই প্রমাণ মাত্র ফেসবুকে দেখলাম। এক সময়ের বিএনপির ডাক সাইটে ছাত্র নেতা জনৈক আবদুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল বিএনপির তকমা গা থেকে মুছে ফেলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন। 

তিনি আরও লেখেন হালে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীদের মুখোশ ক্রমান্বয়ে উন্মোচিত হচ্ছে। কাউকেই শতভাগ মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে এরকম সংবাদ সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। সেই যায়গায় পুরুষত্তম মহাবীর রাসেলকে সাবাসি দিতেই হয়। 

মোঃ রিপন নামের ছাত্রলীগের সাবেক একজন নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি খয়বর হোসেন সরকার মওলার পোষ্টে মন্তব্যে লিখেছেন, "অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড লীগের কাছে আজ জিম্মি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির একাধিক নেতা। তারা ভুলের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ না দিয়ে বরং রাসেল কে ত্যাগী নেতা বানিয়ে প্রত্যায়ন দেয়ার অর্থ বুঝে নিন। ২০০০ পরবর্তী সুন্দরগঞ্জ আওয়ামী রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিহাস আমি নিজেই সুতরাং আজ যারাই রাসেল কে ত্যাগী নেতা বানানোর অপচেষ্টা করে ইতিহাস বিকৃত করার নগ্ন খেলায় মেতেছে। ইতিহাস স্বাক্ষী- তাদের ধংস অনিবার্য। 

বিপি আশরাফুল ইসলাম নামের একজন যুবলীগ নেতা রাসেলের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, 'সংবাদ সম্মেলন শেয়াৱ দেখলাম এখন দেখি নাই ৷