বেনাপোলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের

 মোঃ মনির হোসেন, (বেনাপোল) প্রতিনিধি  জুন ১৪, ২০২১, ০৭:২৬ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

যশোরঃ প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিদিন সেখানে আক্রান্ত আর মৃত্যু বাড়ছে। এ অবস্থায় বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর সচল রাখা হয়েছে। তবে এখানে ভারতীয় ট্রাক চালক থেকে শুরু করে বন্দরের শ্রমিক কেউ যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। এতে সীমান্তে করোনা সংক্রমণ সম্প্রতি বেড়েছে। এর ভয়াবহতা এড়াতে বন্দরে প্রবেশকারী পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক চালক ও বন্দর শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে বিভিন্ন মহলে পত্র দিয়েছে ব্যবসায়ীদের বড় সংগঠন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন। 

সোমবার (১৪ জুন) ইস্যু করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারত থেকে আগত ট্রাক চালকদের শূন্য রেখায় সেনিটাইজেশন করতে হবে। আগত ভারতীয় ট্রাকে স্প্রে করতে হবে। ভারতীয় ট্রাক চালকদের বন্দরে প্রবেশের পূর্বে থার্মাল স্ক্যানার দ্বারা শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যদেরও প্রতিপালন করা জরুরি। ভারতীয় ট্রাক চালকরা বন্দরে প্রবেশের পর পণ্য খালাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ট্রাক থেকে বের হওয়া যাবে না। ভারতীয় ট্রাক চালকেরা যেন কোনোভাবে ট্রাক রেখে বন্দরের বাইরে বা স্থানীয় বাজারে চলাফেরা করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। সকল স্টেক হোল্ডার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরে পণ্য খালাসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে হবে। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসে নিয়োজিত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য চলাকালীন বন্দরের কেপিআইভুক্ত এলাকায় পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে রেলে পণ্য আমদানি পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট, কাস্টমস ও বন্দরের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পণ্য খালাসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে বন্দরে সমবেত হচ্ছেন। সব মিলিয়ে
প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার কর্মজীবী মানুষের উপস্থিতিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বেনাপোল বন্দর এলাকা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা। এ অবস্থায় বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর সচল রাখা হয়েছে। তবে এখানে ভারতীয় ট্রাক চালক থেকে শুরু করে বন্দরের শ্রমিক কেউ যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। এতে সীমান্তে করোনা সংক্রমণ সম্প্রতি বেড়েছে। এর ভয়াবহতা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা মেনে চলার জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার জাহিদ হাসান জানান, যশোরের রোববার ভারত সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলায় ৫১ জনের জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে পজেটিভ হয়েছে ১৯ জন। সোমবার পজেটিভ হয়েছে ১১ জন। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বিশেষ ছাড়পত্র নিয়ে আজ ভারত থেকে পাসপোর্টযাত্রী ফিরেছে ৫৬ জন। তাদের যশোর ও বেনাপোলে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।